চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

দেওয়ানহাট-কদমতলী ফ্লাইওভারের নিচে আবর্জনার ভাগাড়

২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জুন, ২০১৯ | ২:০৩ পূর্বাহ্ণ

ফ্লাইওভার বা উড়ালসড়ক, যানজটে স্থবির নগরজীবনে কিছুটা হলেও গতির সঞ্চার করেছে। পাশাপাশি আধুনিক শহর হয়ে ওঠার জন্য বাড়তি সৌন্দর্যও যোগ করে। কিন্তু নগরীর দেওয়ানহাট-কদমতলী দৃষ্টিনন্দন এ উড়ালসড়কের ‘উপরটা ফিটফাট হলেও নিচে যেন পুরোটাই সদরঘাট’। এ উড়ালসড়কের নিচে যেখানে ফুলের গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের কথা ছিল, কিন্তু সে জায়গায় এখন ময়লা ফেলে ভাগাড়ে পরিণত করা হচ্ছে। যদিও উড়ালসড়কটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বলছে, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডবলমুরিং থানা থেকে শুরু হওয়া দেওয়ানহাট-কদমতলী উড়ালসড়কটির বায়তুশ-শরফ মাদ্রাসায় গিয়ে নেমেছে। এ উড়াল সড়কের বেশিরভাগ খালি জায়গায় ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লা আবর্জনা। আর যে যেভাবে পারছে, সেভাবে ময়লা ফেলছে। যেনো দেখার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা কদমতলী ফ্লাইওভারটি। ২০১৫ গিয়ে এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়। ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় নিচের ডিভাইডারের চওড়া খালি জায়গায় গাছ লাগানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। যার কারণে ফ্লাইওভারটির এসব খালি জায়গায় এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। শুধু ময়লা আবর্জনাই নয়। পাশাপাশি ধূলা বালির উৎসও রয়েছে এই জায়গাগুলোতে।
এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস পূর্বকোণকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমরা কয়েকবার মিটিং করেছি। বিষয়টি আমাদেরও নজরে আছে। আমরা শীঘ্রই এ বিষয়ে ভাল একটি সিদ্ধান্ত নিব। ওই ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কাজ শুরু করা হবে। কাজ শুরু হলে ওই এলাকার সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে। তবে জনগণকেও আরও বেশি সচেতন হতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহরের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। নির্দিষ্ট স্থানে যদি ময়লা ফেলা হয়, তাহলে ফ্লাইওভারের সৌন্দর্য ঠিক থাকবে। আমি মনে করি জনগণ সচেতন হলেই এ শহর সৌন্দর্যেও শহরে রূপান্তরিত হবে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট