চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিজিবির শত কোটি টাকার মানহানি মামলায় সেই এনজিও কর্মীর জামিন

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১৪ জানুয়ারি, ২০২১ | ১:১২ অপরাহ্ণ

টেকনাফে বিজিবির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ‘ব্লাস্টের’ এক নারী এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করে বিজিবি। সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন ফারজানা আক্তার নামে ওই এনজিও কর্মী।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজারের জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ্’র আদালতে হাজির হয়ে জামির আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত চত্বরে ফারজানার আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর শুক্কুর বলেন, ‘একজন এনজিও কর্মীকে হয়রানির উদ্দেশে এ মামলা করা হয়েছে। চেকপোস্টে তল্লাশির সময় শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনায় এমন মানহানির অভিযোগ তুলেছেন বিজিবি। এ মামলায় ফারজানা জিতবেন বলে আশাবাদী তিনি।

বিজিবির আইনজীবি এডভোকেট সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘দেশপ্রেমিক একটি বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানহানিকর। জামিন পেলেই যে বিচার শেষ তা নয়। সুষ্ঠু পুলিশি তদন্ত হয়েছে। হয়তো নারী হিসেবে বিজ্ঞবিচারক তাকে জামিন দিয়েছেন।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মমতো অন্যদের সাথে ব্লাস্টের এক নারী কর্মীকেও তল্লাশি করা হয়। অটোরিকশার যাত্রী ওই নারী পরে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তার বক্তব্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় অনেক গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রচার করে। এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা জানতে দ্রুত তৎপর হয়ে উঠে গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গণমাধ্যমও। কিন্তু পরে প্রশাসনিক নির্দেশে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে সেই নারী এনজিওকর্মীকে ধর্ষণের আলামত পাননি বলে রিপোর্ট দেন। এর প্রেক্ষিতে ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে গত ১০ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ৫০০ ধারায় বিজিবির সুবেদার মোহাম্মদ আলি মোল্লা ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নেয়ার পর আদালত সাত কার্যদিবসের মধ্যে আর্জিতে উল্লিখিত সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনায় মামলাটি তদন্ত করেন টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম। তিনি ওই বছরের (২০২০) ২২ নভেম্বর রোববার আদালতে প্রতিবেদন জমা দিলে চাঞ্চল্যকর মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেদনটি দাখিলের পর আসামি নারী এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট