রপ্তানিমুখী শিল্পের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি করায় দেড় কোটি টাকার ৪০ টন পর্দা ও সোফার কাপড় আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) কায়ীক পরীক্ষা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হন। এ ক্ষেত্রে দেড় কোটি টাকা মূল্যের এ চালানে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা শুল্কফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়।  

ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানির এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে  আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা।

শিল্পের কাঁচামালের (ব্লিচড ফেব্রিক্স) ঘোষণা দিয়ে পর্দা ও সোফার কাপড় আমদানি করে ঈশ্বরদী ইপিজেডের নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড। কায়ীক পরীক্ষাশেষে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়াতে পণ্যবাহী দুটি কন্টেইনার আটক করা হয়। কন্টেইনারে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার সোফার ও পর্দার কাপড় ছিল।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, একটি কনটেইনার আসার প্রায় দেড় মাস এবং অপর কনটেইনারের ২০ দিন পেরোলেও পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক  প্রতিষ্ঠান কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে কনটেইনারে ঘোষণা বহির্ভূত পর্দা ও সোফার কাপড় আছে এমন গোপন সংবাদ থাকায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে কনটেইনার দুইটির বিএল ব্লক করে রাখে। পণ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমদানিকারকের প্রতিনিধিকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে এআইআর টিম । তৎপ্রেক্ষিতে তারা জানায়, কনটেইনার দুইটি তাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত নয় এবং কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে পণ্যচালান দুইটি আমদানি করেছে।  

এরপর কাস্টম কমিশনারের নির্দেশে কনটেইনার দুইটি ফোর্স কিপডাউন করে কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেন এআইআর শাখার কর্মকর্তারা।  

এআইআর শাখার দায়িত্বে থাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম পূর্বকোণকে জানান, দেশি পোশাক শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) ছাড়াই আইপির মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে তড়িৎ খালাসের আওতায় পণ্যচালানগুলো ছাড় দেওয়া হয়। এ চালানে সুযোগের অপব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে অভিনব পন্থায় শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।  

পূর্বকোণ/পিআর