চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাহাড় কাটা বন্ধে বনবিভাগের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুন, ২০১৯ | ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। আজ সোমবার (১৭ জুন) উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ফাহিম মাসুদের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে এ পাহাড় কাটা বন্ধ করেন। বন বিভাগের অভিযানের খবর পেয়ে আগেই জড়িতরা সটকে পড়ায় কাউকে আটক করতে পারা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমির একটি পাহাড় কেটে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ইসমাইল মেম্বার, ইলিয়াস, রিপন সওদাগর, রাশেদ, মাসুদ, ওসমান, জিয়াবুল, আব্দুল্লাহ ও বদন নামের ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে পাহাড় কেটে চলছিল।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ফাহিম মাসুদ বলেন, সংরক্ষিত বনভূমির পাহাড় কাটা আইনত অপরাধ। হারবাংয়ে পাহাড় কাটার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগে পাহাড় কাটায় জড়িতরা পালিয়ে গেলেও পাহাড় কেটে মাটি পাচারের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনভাবেই কাউকে পাহাড় কাটা বা বনভূমির ক্ষতি করতে দেয়া হবে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ৫টি বন বিটের সিংহভাগ বনভূমি বেদখল হয়ে গেছে। ওই বনভূমিতে বনজ সম্পদ সাবাড় ও পাহাড় কেটে অবৈধ বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। ৫টি বিটের অধীনে অন্তত ৩০ হাজার অবৈধ বসতি রয়েছে। এমনকি এ বসতির মধ্যে হাজারখানেক ঘর অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢাল ও চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে বনকর্মীদের যোগসাজশে পাকা বাড়িও (স্থায়ী অবকাঠামো) তৈরী করা হয়েছে বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।
একইভাবে চট্টগ্রাম দক্ষিণের চুনতি ও বারবাকিয়া রেঞ্জের পাহাড় দখল ও কাটা চলছে হরদম। প্রতিদিনই ওইসব পাহাড়ে তৈরী হচ্ছে বসতি। এই দ্ইু রেঞ্জের বনভূমিতে অন্তত ২০ হাজার বসতি স্থাপন করা হয়েছে। অভিযোগ দেয়া হলে বন কর্মকর্তারা মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট