চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় হঠাৎ বেড়েছে খুন-হামলা, গ্রেপ্তার নেই আশানুরূপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুন, ২০১৯ | ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় হঠাৎ করে বেড়ে গেছে হামলা ও হত্যার ঘটনা। এতে জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ জীবনশঙ্কায় ভুগছে। মাত্র চারদিনে ৪ ব্যক্তি খুন হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে কোণাখালী আ.লীগ নেতা কবির আহমদকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে পশ্চিম বড় ভেওলার ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলাকে। এসব ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেয়া হলেও কোন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের দাবি অপরাধ কর্মকান্ডের পরই অপরাধীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় একের পর এক পুলিশি অভিযান চালালেও কাউকে আজ সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানায়, গত ১২ জুন কোণাখালী থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়। তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ জুন চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় আবদুল হামিদকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা পর তার ভাই আবদুল আজিজ বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করলেও কাউকে আটক করা যায়নি। ১৪ জুন ফাঁসিয়াখালীর পাহাড়ি এলাকা উচিতারবিল থেকে মাশুক আহমদ নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেও উদ্ঘাটন হয়নি হত্যার ক্লু, গ্রেপ্তারও হয়নি কেউ।
১৫ জুন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের জমিদার পাড়ায় বদিউল আলমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে আপন ছোট ভাই। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম বাদি হয়ে থানায় ছোট ভাই মনির আহমদ ও তার স্ত্রী রোহানা বেগমকে আসামী করে মামলা করলেও দুই আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া ২৭ মে পৌরশহরে ক্ষুরঘাতে হত্যা করা হয় এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় থাকা আনাস ইব্রাহিমকে। এ ঘটনায় ৬জনকে আসামি করে মামলা হওয়ার পর আটক করা হয় দুইজনকে।
এদিকে, উপকূলীয় চিংড়ি জোন লাগোয়া চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১৭জুন চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মতিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক চুট্টু, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আতিক উল্লাহ। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএসপি মতিউল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন ছাড় দেয়া হবেনা। উপজেলার ছয় লাখ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ ২৪ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চিংড়ি ঘেরের চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই ডাকাতিরোধে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট