দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার অভিযুক্ত ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে শুনানি শেষে অভিযুক্তের জামিন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে গত বুধবার অভিযুক্তপক্ষে জামিনের দরখাস্ত দাখিল করা হয়। আদালত সেদিন দরখাস্তটি শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন আদালত। রবিবার দুপুরে প্রদীপকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাজির করা হয়। শুনানিশেষে তাঁকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

দুদক পিপি এডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। শুনানিশেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।

আদালতসূত্রে জানা যায়, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের দায়ে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণ (৪৫) ও প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকার স্থাবর এবং ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৪ কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৪ স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু যাচাইকালে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৫ টাকার স্থাবর ও ৫৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৯৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ ৪ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৯ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। অভিযুক্তরা দুদকে দাখিল করা বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৪ হাজার ১৭৫ টাকার তথ্য গোপন করেন।

দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২ নম্বর অভিযুক্ত প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির অবৈধ আয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর নামে সম্পত্তি অর্জন করেন। ১ নম্বর অভিযুক্ত চুমকি কারন নিজেকে কমিশন ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে সম্পদ বিবরণী দাখিল করলেও তার সমর্থনে কোনরূপ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। মূলত তিনি একজন গৃহিণী।

অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে এ সম্পত্তি অর্জন করে যার বৈধ আয়ের উৎস নেই। গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর প্রদীপ কুমার দাশকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পূর্বকোণ/পি-আরপি