‘বোধন’ একটি স্মৃতির নাম। একটি ভালোবাসার নাম। এক দেহে অনেকগুলো আত্মা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার নাম ‘বোধন’। এমন ভালোবাসায় ভরা কণ্ঠে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলেছেন বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ। আলাপকালে বোধন আবৃত্তি পরিষদের সঙ্গে কাটানো ৩৪ বছরের নানান বিষয়ের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। এসময় বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আবদুল হালিম দোভাষ। শুধু তিনিই নয়, এমনি আবেগী হয়ে পড়েন আবৃত্তি পরিষদের আরেক ব্যক্তিত্ব অঞ্চল চৌধুরী।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে বোধন আবৃত্তি পরিষদ। সুদীর্ঘ এ পথ চলার নানান স্মৃতি আর জমকালো আয়োজনের মধ্য নিয়ে শনিবার (৯ জানুয়ারি) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বোধন আবৃত্তি পরিষদ ৩৪ বছরপূর্তি পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে আবৃত্তি, নাচ, গান আর শিল্পী-সংগঠকদের আড্ডাভিত্তিক কথামালার আয়োজন করে চট্টগ্রামের প্রাচীনতম এই আবৃত্তি সংগঠনটি। বর্ষপূর্তির আয়োজনটি শিল্পকলা অডিটরিয়াম জুড়ে নবীন-প্রবীণের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
‘আমাদের মুক্তি, আমাদের যুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে’ এই শিরোনামে সামাজিক বিধিনিষেধ মেনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট বিশ্বজিৎ দাশ ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু। এ সময় অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে বোধনের সুদীর্ঘ পথচলা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘বোধন’ এতদিন যেভাবে সত্যের পথে লড়াই করে চলেছে আগামীতেও সকল বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবে।
অঞ্চল চৌধুরী বলেন, শতবছর পালন করুক বোধন। আজকের ফুলের তোড়া আমি ভালোবেসে গ্রহণ করবো। নিয়ে যাবো ঘরে। এ সংগঠন থেকে অর্জিত ফুলের তোড়া আমাদের অনেক কষ্টের। যৌবন থেকে এখনো পর্যন্ত সংগঠনটির সাথে জড়িত আছি। এখানে আত্মা মিশে আছে। রয়েছে অনেক শ্রম। তাই ভালোবাসাও অনেক বেশি।
সাইফুল আলম বাবু সংগঠনের পক্ষ থেকে পাওয়া ক্রেস্ট হাতে বলেন, এ শুধু একটি সম্মাননা স্মারকই নয়, এটি জীবনের অমূল্য অর্জন। আজ আমি যে সম্মানে সম্মানিত হয়েছি এটি আমার একার নয়। এটি সকল সাংস্কৃতিক কর্মীর।
পূর্বকোণ/পি-আরপি