চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আবাদি জমি ধ্বংস করে ভিটে ভরাট, ইটভাটায় বিক্রি

বোয়ালখালীর তুম্ব্রবিলে রাতের আঁধারে টপসয়েলে থাবা

সেকান্দর আলম বাবর

৯ জানুয়ারি, ২০২১ | ১২:১৩ অপরাহ্ণ

উপজেলার খরণদ্বীপ তুম্ব্রবিলের আবাদি জমির ওপর রাতের আঁধারে চলে একাধিক স্কেভেটর। টপসয়েল নিয়ে বিভিন্ন কাজে লাগাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।

জানা যায়, উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের খরণদ্বীপের একমাত্র শস্যভা-ার তুম্ব্রবিল। সেখানে প্রতিদিন রাত ৯টার পর হাজির হয় একাধিক স্কেভেটর। রাতভর চলে আবাদি জমি ধ্বংস করে পুকুর খনন কিংবা টপসয়েল ট্রাকে করে তুলে নিয়ে অন্যত্র ভিটে ভরাটের কাজ নতুবা ইটভাটায় বিক্রি। ভোর হতে না হতেই বিল থেকে উধাও হয় এ স্কেভেটরগুলো। দীর্ঘসময় এ প্রক্রিয়া চললেও দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে প্রশাসন।

এদিকে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তুম্রবিলে স্কেভেটর দিয়ে আবাদি জমি খনন করে টপসয়েল বিক্রি করার সময় হাতেনাতে স্থানীয় মোরশেদ নামে এক ব্যক্তির একটি স্কেভেটর জব্দ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এরপর কিছুদিন ভূমিখেকোরা খনন কাজ বন্ধ রাখলেও গত সোমবার রাত থেকে শুরু করে টপসয়েল বিক্রির মহোৎসব। বিক্রেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবাদি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করছে বলে ক্রেতাদের আশ্বস্ত করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক স্কেভেটর মালিক পূর্বকোণকে বলেন, প্রশাসন ঠিক আছে, সাংবাদিকদের ঠিক রাখা গেলে এ মৌসুমে টপসয়েল বিক্রি করে অন্ততঃ ২০ লক্ষ টাকা আয় হবে। এদিকে নির্বিচারে টপসয়েল কাটার কারণে পার্শ্ববর্তী জমি চাষের উপযোগিতা হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ না থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন, রাতে মাটি কাটলে আমরা কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। দেখা যাক, কি করা যায়। আমি ওসি সাহেবকে বিষয়টা জানাচ্ছি। দেখি তিনি কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন কিনা? এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ওসি মো. আবদুল করিম বলেন, প্রশাসন চাইলে যেকোন সময় পুলিশ প্রস্তুত। প্রশাসন ম্যানেজড একথা যারা বলে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট