জলবদ্ধতা ও মশা চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান দুটি সমস্যা। দুটোরই সমাধান একটাই নগরীর খাল ও নালা পরিস্কার রাখা। কিন্তু তাতেই কেমন জানি উদাসীন নগরীর সচেতন নাগরিকরা। খাল ও নালায় আর্বজনা ফেলে এমন অবস্থা করে যেখানে খালের স্বাভাবিক স্রোত বাধাগ্রস্থ হয়। সেই জমানো পানি ও আর্বজনার স্তুপে জন্ম নেয় মশা। অথচ চট্টগ্রাম সিটি করর্পোরেশন (চসিক) নগরীর ডোর -ডোর ময়লা সংগ্রহে মাসে পরিছন্নকর্মীদের বেতন গুনতে হয় প্রায় দুই কোটি টাকা। আজ শুক্রবার সকালে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন চাক্তাই খালের বাদুরতলা হারিছ শাহ্ মাজার সংলগ্ন এলাকা ও ঘাসিয়ার পাড়ার অংশে বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।
অভিযানে কর্পোরেশনের শতাধিক পরিচ্ছন্ন সেবক-কর্মীর অংশগ্রহণে প্রায় ১’শ ট্রাকের মতো বর্জ্য পরিস্কার করা হয়। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলাকলে দেখা যায় বাদুরতলা হারিছ শাহ্ মাজার সংলগ্ন ও ঘাসিয়ার পাড়ার অংশে চট্টগ্রামের দুঃখ খ্যাত চাক্তাই খালে বর্জ্য, গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন ফেলার কারণে খালটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালের কোন কোন অংশে বড় বড় কচুরিপানা গজিয়ে উঠেছে, আবার কোথাও বর্জ্য ফেলার কারণে খালটি দেখতে অনেকটা ডাস্টবিন মনে হচ্ছিল। এই ময়লা আবর্জনা খালে ফেলার কারণে পানি চলাচলের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। শতাধিক সেবক, স্কেভেটর ও পে-লোডার দিয়ে আবর্জনা-বর্জ্য পরিস্কার কার্যক্রম শুরু হলে খালের পানি চলাচলের প্রবাহে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে। অনেক স্থানে খাল সংযুক্ত নালার আটকে থাকা পানির প্রবাহও ছুটে যায়।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় খাল পরিস্কারের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ ফোনে এবং ওয়াটসআপে ভিডিও কলে তদারকি করেন। তিনি কর্পোরশেনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খালের দুইপাশের এলাকার অধিবাসীদের খাল নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ শহর আমার আপনার সবার। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এই নগরকে একটি স্বাস্থ্যকর, পরিচ্ছন্ন, নান্দনিক ও মানবিক শহররূপে গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।
এসময় সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সিদ্দিকুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ জাসেদ, আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী কামাল পাশা, প্রফেসর জসীম উদ্দীন, প্রকৌশলী রিয়াজুল হক, আজহারুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. আলমগীর, খোরশেদ আলম ও মাহী বি তাজওয়ার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ / আরআর