চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চলছে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটির পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি

ফের সরব দ. জেলা বিএনপি

‘নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনে ও সাংগঠনিক অবস্থা জানতে এই সফর শুরু’

মোহাম্মদ আলী

১৭ জুন, ২০১৯ | ২:২৫ পূর্বাহ্ণ

আবারো সরব হয়ে ওঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ৭ উপজেলা, ৫ পৌরসভা ও এক থানা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভা করছে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটি। এক পক্ষকালব্যাপী এই সাংগঠনিক কর্মসূচি গত ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে। তা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের নেতৃত্বে এ সাংগঠনিক কমিটিতে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশীদ হারুণ। এ কমিটি গত ১৫ জুন বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং গতকাল (১৬ জুন) বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করেন। কাল (মঙ্গলবার) বৈঠক করবেন কর্ণফুলী থানা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীও উপস্থিত থাকছেন। এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনে ও সাংগঠনিক অবস্থা জানতে কেন্দ্রের নির্দেশে এই সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ জুন তা শেষ হবে। এরপর দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রে রিপোর্ট দেওয়া হবে। এ রিপোর্টের ভিত্তি করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে’। ৭ উপজেলা, ৫ পৌরসভা ও এক থানা নিয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কমিটি গঠিত। গত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনে ব্যাপক তোড়জোর চলে আসছে। এ নিয়ে জেলা নেতৃবৃন্দ সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন। সূত্র জানায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামে তৃণমূলে বিএনপির ভিত্তি গড়ে তোলেন সাবেক মন্ত্রী ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম। তিনি বিএনপি ছেড়ে এলডিপি গঠনের পর দলের হাল ধরেন আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। পরে তিনি বাঁশখালী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি মন্ত্রীও হন। পরবর্তীতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বও গ্রহণ করেন। এখনো পর্যন্ত তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১০ সালের ২০ মার্চ। সম্মেলনের পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি ও অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তখন দক্ষিণ জেলার এ কমিটি মেনে নিতে পারেন নি বিএনপির একটি অংশ। গঠন করা হয় পাল্টা কমিটি। ওই কমিটিতে আহমদ খলিল খানকে
। ১১ পৃষ্ঠার ৪র্থ ক.

সভাপতি এবং এডভোকেট ইফতেখার মহসিন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ফলে কমিটি-পাল্টা কমিটির কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিধাবিভক্ত দক্ষিণ জেলা বিএনপিকে একত্রিত করতে উদ্যোগ নেয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। ১৫১ সদস্যের পুনর্গর্ঠিত কমিটিতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি বহাল রাখা হলেও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদকে সরিয়ে পটিয়ার সাবেক এমপি গাজী শাহাজাহান জুয়েলকে নতুন করে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহমদকে পুনর্গঠিত কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট