চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রমজান পরবর্তী বাজার পরিস্থিতি

দাম কমেছে মাংস ও সবজির নিষেধাজ্ঞায় মাছের দাম বাড়তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুন, ২০১৯ | ২:২৯ পূর্বাহ্ণ

২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশের পর থেকে চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ। এ বাজেট ঘোষণার পর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম না বেড়ে যায় এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে সাধারণ মানুষ। তবে চট্টগ্রামে এখনো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম না বাড়ায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে দাম বেড়েছে আইসক্রিম, ভোজ্যতেল, ডিম, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা। গত এক সপ্তাহ আগেও প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ৯৬ টাকা। কিন্তু গতকাল বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ছিল ২০ টাকা। যা এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকা, রসুন ও আদা ১০০ টাকা থেকে বেড়ে কেজি প্রতি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, দাম বেড়েছে মাছেরও। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে মাছের সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে

বলে জানান চকবাজারের মাছ বিক্রেতা সাইফুল। তবে সবজি ও মাংসের দাম এখনও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে। বিক্রেতারা বলেন, দ্রুতই এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ কাঁচা বাজারের দাম বাড়তে পারে।
গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারগুলোতে এখনো সবজির যথেষ্ট সরবরাহ আছে। তাই সবজির দাম এখনো নাগালের মধ্যে আছে।
সবজি বিক্রেতা আরমান হোসেন বলেন, রমজান মাসের তুলনায় প্রায় সব সবজিরই দাম কমেছে। এখনো সেই সবজিগুলোর দাম বাড়েনি। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৯ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিনা মুলা ৩০ টাকায়, শসা ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, তবে অপরিবতির্ত আছে বরবটির দাম। প্রতি কেজি বরবটি এখনো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা রমজানেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। টমেটো ৪৫ থেকে কমে ৩৫ টাকা, গাজর ৩০-২৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে কমে ৩০ টাকা, আবার দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙা ৩৫-৪০ টাকা, তিতকরলা ৪০ টাকায়। কাঁকরোল প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ছোট কচু ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ ২৫০ টাকা ও দেশি রুই ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাতাল মাছ (জীবিত) কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ১২০-১৩০ টাকা। কৈ মাছ (ফার্মের) ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেনি সামুদ্রিক মাছের। ইলিশ মাছ ৬০০ গ্রাম ৬৫০-৭০০ টাকা। রূপচাঁদা ৬৫০-৭০০ টাকা, লাল কোরাল ৫০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৯০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৫০০ টাকা।
মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, মাছের দাম বেড়েছে। সাতক্ষীরা হ্যাচারি ও কাপ্তাই থেকে মাছ কম আসছে। সাগরে এখন মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সামুদ্রিক মাছ আসা বন্ধ আছে। অপরিবতির্ত আছে ফার্মের মুরগির দামও। তবে রমজানের তুলনায় গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি মুরগি ৪০০ টাকা, ফার্মের মুরগি ১২০-১৩০ টাকা, কক মুরগি ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাড়ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়, হাড়সহ ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের মাংস কেজি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারে বাজার করতে আসেন একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদ। তিনি বলেন, বাজেট ঘোষণার আগে ও পরে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। প্রস্তাবিত বাজেটে কোন পণ্যের দাম কমছে বা বেড়েছে সেটা আমাদের জানা থাকে না। তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের থেকে কৌশলে সব রকম পণ্যের দাম বাড়িয়ে নেয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট