চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে নেপাল রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্র

কানেকটিভিটি সহজ হলে দু’দেশের বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ জানুয়ারি, ২০২১ | ২:৩৫ অপরাহ্ণ

ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্র বলেন, বাংলাদেশের সাথে নেপালের রেল, রোড ও ওয়াটার ওয়েজ কনেকটিভিটি সৃষ্টি হলে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এরমধ্যে কলকাতা বন্দর থেকে বাংলাদেশের বন্দরসমূহে পণ্য পরিবহন ভবিষ্যতে নেপালের জন্য সহায়ক হবে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে নেপালের কৃষি, প্রযুক্তি, পর্যটন, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অপার সুযোগ রয়েছে। এজন্য দুই দেশের পণ্য পরিবহনের যোগাযোগ পথ আরো সহজ করার সুযোগ বের করতে হবে।

 

চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে গতকাল বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বন্দর ভবনের সভাকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতে নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্র এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশকে নেপালের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় একই রকম। দু’দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার। নেপালের বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে বিশেষ করে ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে বাংলাদেশে সরকারের সাহায্য ও সহানুভূতির কথা আমরা আজীবন স্মরণে রাখবো। একই সাথে নেপালে সার ও চাল রপ্তানি এবং কোভিড-১৯ এর সময় ঔষধ প্রেরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভবিষ্যতে মাতারবাড়ি পোর্ট ও বে টার্মিনাল নির্মিত হলে নেপালের যেকোন ভলিয়মের ট্রানজিট কার্গো পরিবহনে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে। তাছাড়া দুই দেশের মধ্যে ‘স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (এসইজেড)’ তৈরির মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি এবং টুরিজম খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ আঞ্চলিক টুরিজম এক্সপ্লোর করার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করা যেতে পারে।

বন্দর পরিদর্শনে নেপালের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান বন্দর চেয়ারম্যন। এছাড়া বন্দরের সার্বিক কর্মকা-, বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যাবলী ও বন্দরের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম।

নেপালের রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কর্মকা-ের ভূয়সী প্রশংসা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এশিয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দরের সুদৃঢ় অবস্থানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো মমিনুর রশিদ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর-রহমান খান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, সচিব মো. ওমর ফারুক, চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান প্রমুখ।

সভাশেষে প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বন্দরে চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এলাকা পরির্দশন করেন।

 

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট