চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গৃহকর মওকুফ চায় কারাগার

ইফতেখারুল ইসলাম

৫ জানুয়ারি, ২০২১ | ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) মওকুফ চায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের কারাগারসমূহ। তাদের দাবি তারা সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন সেবা গ্রহণ না করেও ট্যাক্স দিয়ে থাকে। আইন দ্বারা স্বীকৃত অপরাধীদের আটক রেখে তাদের সংশোধনের মাধ্যমে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে সমাজে ফিরিয়ে দিয়ে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।

তবে চসিকের রাজস্ব বিভাগের দাবি, কারা অভ্যন্তরে চসিকের সেবা না নিলেও বাইরের সব সেবা গ্রহণ করছে। হয়তো কিছুটা কমানো যেতে পারে। ট্যাক্স সম্পূর্ণ মওকুফ করার সুযোগ নেই।

গত ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের অন্যান্য কারাগারসমূহে পানি সরবরাহ, মশক নিধন, কীটনাশক ছিটানোসহ বিভিন্ন প্রকার সেবা কারা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়ন করে থাকে। যথাযথ সেবা গ্রহণ না করেও কারাগারসমূহ সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা কর্তৃক ধার্য হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়মিত পরিশোধ করে আসছে। ফলে এ খাতে অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অধিকন্তু সমাজের তথা আইন দ্বারা স্বীকৃত অপরাধীদের আটক রেখে তাদের সংশোধনের মাধ্যমে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে সমাজে ফিরিয়ে দেয়ার মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে কারাগারসমূহ। সে বিবেচনায় কারাগার একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের সকল কারাগারের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার অনুরোধ জানান তিনি।

গত ১৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখার সুরক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি দেন। ওই চিঠিতেও তিনি কারাগারসমূহ সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন ধরনের সেবা গ্রহণ না করেই নিয়মিত কর পরিশোধ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। ওই চিঠির আলোকে গত রবিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুমেরী জামান এ সংক্রান্ত মতামত চেয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম পূর্বকোণকে বলেন, কারাগার বিপথগামীদের সংশোধনাগার হিসেবে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এটা সত্য। কিন্তু তারা সিটি কর্পোরেশনের সেবা গ্রহণ করে না বলে যে তথ্য দিয়েছে তা সত্য নয়। কারণ তারা এই শহরের রাস্তাঘাট ব্যবহার করে। আর রাস্তাঘাট নির্মাণ, মেরামত, আলোকায়ন করে সিটি কর্পোরেশন। সেক্ষেত্রে এই শহরে বসবাসকারি প্রত্যেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের সেবা গ্রহণ করে। আর সিটি কর্পোরেশনের আয়ের প্রধান উৎস হোল্ডিং ট্যাক্স। সবার উচিত এই বিষয়টি মাথায় রাখা। না হয় সিটি কর্পোরেশনের সেবাদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

চসিকের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, কারা অভ্যন্তরে সেবা দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু রাস্তাঘাট, সড়কবাতি, নালানর্দমা, আবর্জনা অপসারণ ইত্যাদি বাইরের সব ধরনের সেবা তারা পাচ্ছে। তাছাড়া কারো বাড়ির ভিতরে গিয়ে সেবা দেয়ার সুযোগ সিটি কর্পোরেশনের নেই।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট