চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চন্দনাইশে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন, দাম পাচ্ছে না কৃষকেরা

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

১৭ জুন, ২০১৯ | ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার শঙ্খ নদীর তীরবর্তী বৈলতলী, বরমা, দোহাজারী, রায়জোয়ারা, দিয়াকুল, চর বরমা এলাকায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম ভালো না পাওয়ায় কৃষকদের মন ভালো নেই।
উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী এলাকার কৃষকেরা অন্য সবজি চাষের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছে প্রচুর। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। কৃষকদের মতে জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ফলন ভালো পেলেও দাম কম পাওয়ায় হাসির পরিবর্তে ঋণের বোঝা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা জমিতে হাইব্রিড ও দেশীয় জাতের মিষ্টি কুমড়া বীজ এনে চাষাবাদ করে। সেই কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আর এসব এলাকার মাটি কৃষি কাজে উপযোগী বলে ফলনগুলো খুবই সুস্বাদু হয়। সাইজে অনেক বড়, ভালো, মিষ্টি, স্বাদ এ সকল মিষ্টি কুমড়া। এখন কৃষকদের বাড়ির উঠানে শত শত মিষ্টি কুমড়া। যা আগে থেকেই ঘরে উঠিয়ে রেখেছেন কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে। প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে পাইকারী বিক্রি করলেও বাজারে এসে তা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি কেজি ২০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়। মুনাফা পাচ্ছে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা। কোন এগ্রো ফুড কোম্পানী যদি তাদের এ মিষ্টি কুমড়া নিয়ে কাজে লাগায় তাহলে কৃষকেরা আরো ভালো দাম পেত ও মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, প্রতি বছরই এসব এলাকার বেশ কিছু কৃষক মিষ্টি কুমড়া চাষ করে থাকে। কারণ অন্য সবজির চেয়ে মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ কম, উৎপাদনও ভালো। ধান কাটার মৌসুমশেষে মাটিতে চাষ দিয়ে প্রতি ৪ হাত অন্তর গর্ত করে বীজ বপন করে চাষীরা। জৈব সার প্রয়োগ ও পানির সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকায় এ চাষ করা যায়। কুমড়ার ফলন অনুযায়ী চাষীরা ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে পারে। এখানের কৃষক দেশীয় ও হাইব্রিড জাতীয় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে থাকে। তবে দেশীয় মিষ্টি কুমড়া খুবই সুস্বাদু। তরকারি হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি জুস কোম্পানীগুলো এখানকার মিষ্টি কুমড়া ব্যবহার করে থাকে। এ মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভালো ফলনের জন্য ক্ষতির পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ফসলের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। ক্ষতিকর কীটনাশক বাসা বাঁধতে না পারলে ফলনের ক্ষতি করতে পারে না। যেসব এলাকায় ধান চাষ কম হয়, সেসব এলাকায় কম খরচে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশের জন্য আবহাওয়ার দিকে কৃষকদের খেয়াল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। যাতে ফলন নষ্ট না হয়, কৃষকেরা সময় মতো ফলন ঘরে তুলতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট