চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চসিক’র নীতি-নির্ধারণী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামের সাত স্থানে হবে করোনার টিকা সংরক্ষণ

৪ জানুয়ারি, ২০২১ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

কোভিড-১৯ টিকাদানকে মহাযজ্ঞ হিসেবে ধরে নিয়ে এই কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য বৃহৎ পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এরমধ্যে টিকা সংরক্ষণ ও টিকাদানের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নগরীর সাতটি স্থানে কোভিডের এসব টিকা সংরক্ষণের জন্য জায়গা (কোল্ড স্টোর) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ও ইপিআই কর্মীও।

গতকাল (রবিবার) সকালে নগরীতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও সকল প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।   বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় ভ্যাকসিন কীভাবে বিতরণ করা হবে, কারা কারা এসব টিকা পাবেন, সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে কিনা এবং কিভাবে টিকা সংরক্ষণ ও এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  সূত্র আরও জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবিরকে প্রধান করে টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত একটি কারিগরি কমিটিও গঠন করা হয়। ওই কমিটিই পরবর্তী বিষয়গুলো নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা।

ইতোমধ্যে কারিগরি কমিটি এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির গতকাল (রবিবার) রাতে পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রদানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল আমাদের আছে। দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিন সরবরাহে আমরা বেসরকারি খাতকেও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। একটি সুশৃঙ্খল টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সে অনুযায়ী টিকা কার্যক্রম চলবে’।

সভায় চসিক’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিন প্রদান ও সংরক্ষণে কর্পোরেশনের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। ইতোমধ্যে আমাদের সাতটি এলাকায় যথাক্রমে কাপাসগোলা, পাঁচলাইশ, মেমন হাসপাতাল, আগ্রাবাদ, কাট্টলী ও বন্দরটিলায় স্টোর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সাথে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীও প্রস্তুত আছে। প্রয়োজনে তাদের আরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।  সভায় যে সকল স্থানে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে, সেখানে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান, চসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ খান, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক নুসরাত সুলতানা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. গাজী গোলাম মাওলা, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও কোভিড ইউনিটের ফোকাল পারসন অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস সাত্তার, চসিক’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আলী প্রমুখ।

 

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট