চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মদুনাঘাটে ‘রিলেশন পার্ক’ গুঁড়িয়ে দিল ওয়াসা

প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের জায়গা উদ্ধার

মদুনাঘাটে ‘রিলেশন পার্ক’ গুঁড়িয়ে দিল ওয়াসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ | ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টার ও হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা মোস্তফার উপস্থিতিতে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়ার কার্যক্রম চলে। অভিযানে ৫০ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা।

ওয়াসার এস্টেট কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, এটা ওয়াসার ক্রয়কৃত জায়গা আমরা দখলে নিচ্ছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছ থেকে চলতি বছর রেজিস্ট্রি করে নেয়া হয়েছে। এখানে কারো মালিকানা জায়গা নেই।

রিলেশন পার্ক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা দীর্ঘ কয়েকবছর আগে ১ বছরের জন্য লিজ নিয়ে বহুবছর ধরে অবৈধভাবে দখলে রেখেছিলেন জায়গাটি। দ্বিতীয়ত তাদের সাথে আমাদের কোন ঝামেলা নেই। তাদের কোন মতামত থাকলে তা পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখবে আমরা নই।

রিলেশন পার্কের জায়গাটি লিজমুলে মালিকানা দাবি করে সৈয়দ নেছার উদ্দিন বুলু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নিয়মানুযায়ী ইজারা দিয়ে এবং তাদের দেয়া নকশানুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করে দখলে আছি। বিগত ২০১১ সালে লিজ মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে একটি কাল্পনিক অভিযোগে দখল বুঝিয়ে দিতে বললে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলা দায়ের করি। পরে উক্ত মামলা দেওয়ানি আদালতে বিচার্য মর্মে উল্লেখে এখতিয়ারগত কারণে খারিজের পর পর হাটহাজারী সহকারী জজ আদালতে অপর মামলা ৩১৪/২০১৫ দায়ের করি।

মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিবাদি হিসেবে আপত্তি দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানিঅন্তে সার্বিক বিবেচনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য বিগত ১৫ সালের ৬ অক্টোবর আদেশ দেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি বছরের ১০ নভেম্বর বর্ণনা দাখিলের জন্য সময় চান এবং আগামী ১১ মার্চ বর্ণনা দাখিল ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার শুনানির জন্য দিন ধার্য্য আছে।

কয়েক কোটি টাকার মালামাল ক্ষতি করেছে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালত আদালত অবমাননা ও ক্ষতিপূরণ মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ওয়াসার সার্ভেয়ার গোলাম সরোয়ার বলেন, অভিযানে ৫০ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, আমরা আদালতকে সম্মান করি। মামলায় যে দাগ উল্লেখ রয়েছে তা উদ্ধারকৃত জায়গার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট