চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুরগির ফার্ম হতে পলিটেকনিক বাইপাস সড়কের কাজ শেষ পর্যায়ে, স্বস্তি জনমনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জুন, ২০১৯ | ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে খুলশী মুরগির ফার্ম হতে পলিটেকনিক মোড় পর্যন্ত বাইপাস সড়কের ‘পলিটেকনিক ও আব্দুল হান্নান সড়ক’ কাজ সম্পন্ন হতে চলেছে। সড়কটির কাজ যখন শুরু হয় তখন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের উৎপাত মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়। এমনকি সড়কের নির্মাণ কাজের জন্য আনা ইট পর্যন্ত লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কাউন্সিলরের দৃঢ়তা এবং সিটি মেয়রের সহযোগিতার কারণে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। বর্তমানে সড়কটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নগরীর ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডস্থ বহু সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও আবাসিক এলাকার মানুষের যাতায়াতে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। বাইপাস হিসেবে কাজ করছে নগরীর যানজট নিরসনে। ২নং গেট ও জিইসি মোড়সহ শহরের প্রধান দুইটি সড়ক জাকির হোসেন রোডের যানজট কমাতেও ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে খুলশী কলোনি, রূপসী হাউজিং সোসাইটি, নয়াশহর আবাসিক এলাকা, স্টাফ কোয়ার্টার, ইয়াকুব ফিউচার পার্ক, গ্রিন হাউজিং সোসাইটি, মাস্টার কলোনী আবাসিক এলাকা, খুলশী রেলওয়ে ৯নং ব্রিজের মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষ এবং চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পলিটেকনিক হাই স্কুল, শহীদ ডা. মকবুল হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেমেক্স পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মিপস পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু উদ্যোগের অভাবে যুগের পর যুগ জরাজীর্ণ ও অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিল। জরুরি কোন কাজে যেতে হলে গাড়ি পেতেও চরম বিড়ম্বনার শিকার হতো। আর সেই দুর্বিসহ যন্ত্রনা এখন আর নেই। প্রায় ৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জানতে চাইলে কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম পূর্বকোণকে জানান, পলিটেকনিক এলাকায় এখনো যে কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তাও উচ্ছেদ করা হবে। কারণ সেখানেও সড়কটি প্রশস্থ হবে। তাছাড়া খুলশী রেললাইন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঝে সড়কে সরু অংশটি সম্প্রসারণ করার জন্য ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রীর সাথে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন যোগাযোগ করেছেন। ওই অংশটি সম্প্রসারণ করা গেলে এই সড়কের আর কোন বাধা থাকবে না উল্লেখ করে কাউন্সিলর মোরশেদ বলেন, একসময় এই সড়কে একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে সাইড দিতে কষ্ট হত। এখন অনায়াসে একটির পাশ দিয়ে অন্য গাড়ি চলে যেতে পারে। এখন অক্সিজেনের দিকে যাত্রীদেরকে আর জিইসি মোড় হয়ে ঘুরে আসতে হয় না। তারা এই বাইপাস সড়কটি ব্যবহার করে সময় বাঁচাতে পারেন। তাতে জিইসি মোড়ের উপরও চাপ কমবে। তিনি জানান, এই সড়কে ফুটপাত ছিল না বলে পথচারিরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হত। এখন ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। লাগানো হবে এলইডি লাইট। প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য তিনি সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনকে ধন্যবাদ জানান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট