চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উদ্বোধন হল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

২২ ডিসেম্বর, ২০২০ | ৩:০৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম মহাতীর্থের শম্ভুনাথ মন্দিরের তলদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অর্ধ শতাধিক সৈনিকের স্মৃতিতে নির্মিত ভাস্কর্য ‘ মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ এর উদ্বোধন করেন শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহীর সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের এমপি আলহাজ দিদারুল আলম, সহকারী হাই কমিশনার (চট্টগ্রাম) অনিন্দ্য ব্যানার্জী, থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন, সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বদিউল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য আ ম ম দিলশাদ, সীতাকুণ্ড স্প্রাইন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন দাশ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নব নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, রক্তদানের বন্ধুত্ব কখনো ছিন্ন হয় না। বাংলাদেশের সাথে ভারতের মৈত্রী চিরস্থায়ী হবে।

ভারতীয় হাই কমিশনার আরো বলেন, ঐ যুদ্ধের তাৎপর্য সকলেই জানেন। সেসময় ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পাশে দাঁড়িয়েছিলো। ভারতীয় অনেক সৈন্য সেসময় মারা যান। যারা মারা গেছেন তাদেরকে এভাবে স্মরণীয় করার রাখার জন্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ তথা বাংলাদেশ এই ভাস্কর্য নির্মাণ করে স্মৃতি সংরক্ষণ করায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ৭১ এর যুদ্ধের সময় আবার বাবাও একজন পাইলট হিসেবে অবদান রাখেন। এজন্য আমি গর্ববোধ করি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ অক্ষয় হোক বলে শুভকামনা জানান।

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহায়ষী নারী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এক কোটি স্মরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ভারতের সৈন্যদের পাঠিয়ে এ দেশের জয় নিশ্চিত করেন। তিনিই বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশের জন্য জনমত সৃষ্টি করে স্বাধীন দেশকে স্বীকৃতি পাইয়ে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন।

তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর বীর শহীদদের অনেক বধ্যভূমি, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্মৃতি এখনো সংরক্ষণ করা হয়নি। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’, স্মৃতি ৭১সহ সীতাকুণ্ডতেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের স্থানে ভাস্কর্য নির্মাণ করে তা নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরেছে। এজন্য তিনিও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের আগে অতিথিবৃন্দ ‘ ভাস্কর্য মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র উদ্বোধন করে বীর শহীদদের পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পূর্বকোণ/সৌমিত্র-এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট