কক্সবাজারের পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘পরিবেশ রক্ষায় ট্যুর অপারেটরদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ( ১৭ ডিসেম্বর) সকালে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’ এর সহযোগিতায় অরুণোদয় সম্মেলন কক্ষে ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) এ সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। প্রধান অতিথি বলেন, পরিবেশ না থাকলে পর্যটন থাকবে না। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখতেই পর্যটকরা কক্সবাজারে ভ্রমণে আসে। আর সেই প্রকৃতি যদি আমরা ধ্বংস করি, তবে পর্যটকের আর কোন আকর্ষণ থাকবে না। এজন্য পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রেখেই পর্যটনকে বিকাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে ট্যুর অপারেটরদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়া সমুদ্র, সৈকত, পাহাড়, বন, ঝর্ণা, চর, দ্বীপ, পাখি, জীব-বৈচিত্র্যের পরিপূর্ণ কক্সবাজারের পর্যটন রক্ষার্থে প্রত্যেক ট্যুর অপারেটরদের পরিবেশকর্মী হয়ে পর্যটকদের উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করার আহবান জানান তিনি।
এসময় কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক নিজে ব্যবহার করা ও পর্যটকদের ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন জেলা প্রশাসক।
এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহাজান আলী, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা।
পরিবেশ বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার জোট ‘আইইউসিএন’ এর প্রতিনিধি মো. সুলতান আহমেদ ও আবদুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি এম রেজাউল করিম।
সভায় মতামত পেশ করে বক্তব্য রাখেন টুয়াক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ওবায়দুল, আজমল হুদা, মোহাম্মদ মনির, মো. আরকান, কাদের খান, সাইদ ফরহান ও আরিফুর রহমান। সভায় ৫০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/আরফাতুল-এএ