চলমান করোনা পরিস্থিতিতেও বিজয় দিবস উপলক্ষে বেশ জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসা। তিনদিন ধরেই ফুল দিয়ে নানারকম তোড়া সাজানোতে ব্যস্ত কারিগররা। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস- পর পর এই দুই দিবস পড়ে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকার ফুল ব্যবসায়ীরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফুল বিক্রেতাদের কাছে রয়েছে সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিদের অগ্রিম অর্ডার। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদিও এখন কিছুটা জমে উঠেছে ব্যবসা। কিন্তু অন্যবারের মত নয়।
এবারের বিজয় দিবসেও বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে ব্যবসার উপর। আমরা এ বছর পুরোটাই বসে বসে কাটিয়েছি। প্রায় দুই মাস ধরে সপ্তাহে এক বা দুই দিন খুব অল্প দামে ছোট ছোট কিছু বিয়ের অর্ডার পাচ্ছি। এ দিয়ে কোনো রকমে চলছে দোকান ও কর্মচারীর খরচ। সারাবছরে বলতে গেলে বিজয় দিবস উপলক্ষেই কিছু ব্যবসা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানের ভেতর ও বাইরে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হরেক রকমের ফুলের তোড়া ও ডালি। এসব তোড়া ও ডালির মাঝখানে লেখা রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম, সরকারি, বেসরকারি ও নানান সংগঠনের দলের নাম। সাথে লেখা রয়েছে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বাণী। শুধু ডালি বা তোড়াই নয়, রয়েছে বিভিন্ন আকারের মালা। ডালিগুলো সাজানো হয়েছে বিশেষ করে হলুদ গাঁদা ফুল, গোলাপ ও রজনীগন্ধা দিয়ে। এক দেখায় বেশ নজর কাড়ছে সবার। চারপাশে ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে এখানের বাতাস। গতকাল সন্ধ্যা হতেই অর্ডার দেয়া ফুল নিতে এসেছেন অনেকে। কেউ গাড়ি নিয়ে, কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে। আর নিয়ে যাচ্ছেন ফুলের তোড়া বা ডালি। কারণ রাত পোহালেই দেশের জন্য প্রাণ দেয়া শহীদদের স্মরণে ফুল দেবেন স্মৃতিস্তম্ভে।
চট্টগ্রাম ফুল মালিক সমিতির সভাপতি মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। পুরো বছরটাই ব্যবসা না করে কাটিয়েছি। অন্যান্য বছর এসব দিবসে শুধু মোমিন রোড এলাকায়ই কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হত। কিন্তু এবারে তার তুলনায় তেমন কিছুই হচ্ছে না। অন্যান্য বছর আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই অর্ডার দেয়া ফুল ডেলিভারি দিতে হত। কিন্তু এবারে তার চাপ নেই।
পূর্বকোণ/এএ