চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আজ চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ | ১:০৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, তিন বারের সফল মেয়র প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অবস্থান গড়ে তুলেছিলেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ কারণেই মানুষের আস্থা অর্জন করতে সফল হয়েছিলেন। তাই এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চট্টগ্রামবাসী চট্টলবীর এবং চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন।

চট্টলার অবিসংবাদিত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সংগঠনের উদ্যোগে মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং সকাল ১১টায় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি তার বাসভবন ঢাকা থেকে অংশ নেবেন। সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মী, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

ষাটের দশকে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্র থাকাকালীন সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সেসময় তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি শ্রমজীবী মানুষের সাথে রাজনীতি করেছেন। মেয়র থাকাকালীন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর বেডরুম পর্যন্ত সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ১৯৯৬-এ তিনি একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে সারা চট্টগ্রামের মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছিল। প্রশাসন ভেঙে পড়েছিল। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, যার মধ্য দিয়ে তাঁর একটা বাড়তি পরিচয় গড়ে উঠেছিল। যখনই মানুষ দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে পড়েছে, তিনি কখনো মানুষকে ফেলে যাননি। ১৯৯১ এর সাইক্লোনের সময় বাড়িঘরহারা মানুষকে শহরে তুলে এনে সেবা করেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে মহিউদ্দিন চৌধুরী সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট