চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মেট্রোপলিটন চেম্বার

বাজেট ‘ব্যবসাবান্ধব’ ও কর্মসংস্থান বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০১৯ | ২:৩১ পূর্বাহ্ণ

দেশের চলমান অগ্রযাত্রায় ২০১৯-২০ সালের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার সর্বোচ্চ বাজেট ‘ব্যবসাবান্ধব’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি খলিলুর রহমান। সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। ৪৯ বছর পর বর্তমানে জাতি পেয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট। এতেই অনুমেয় হয় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
। ৯ম পৃষ্ঠার ৫ম ক.

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর প্রতিক্রিয়া জানান সিএমসিসিআই সভাপতি।
সাহসী বাজেটের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি সিএমসিসিআই’র পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ দেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে- যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও বন্দর উন্নয়ন খাতে আরও বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। যার ফলে দেশের শিল্পায়ন বৃদ্ধি পেয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের জিডিপি ৮ দশমিক ৫ ছাড়িয়ে যাবে। বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, রেমিটেন্সের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় বৈদেশিক সহায়তার ব্যবস্থা থাকলে সরকারকে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ কমিয়ে রাখতে পারলে দেশের অর্থ তারল্য সংকট সৃষ্টি হবে না। পক্ষান্তরে ব্যাংক ঋণ ছাড়াই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাট আইনের যে ৫টি স্তর আনা হযেছে তার হার আরও কমিয়ে বেশি লোক থেকে ভ্যাট আহরণের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ যে সব স্থানে ভ্যাট প্রদান করছে বহুলাংশে তা সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে না বলে সর্বক্ষেত্রে আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে যাতে জনগণের প্রদেয় ভ্যাট সরকারের কোষাগারে জমা হয় তার জন্য সর্বস্তরে ভ্যাট চালানের বাধ্যবাদকতাসহ সব প্রথম শ্রেণির ব্যবসাস্থলে ভ্যাট আহরণ মেশিন (ইসিআর/ইএফডি) চালুর ব্যবস্থা করলে ভ্যাট থেকে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আসবে।
কাস্টম হাউসের অটোমেশনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিলে কিছু কাস্টম কর্মকর্তার ঐচ্ছিক কার্যক্রমের ওপর ব্যবসায়ীদের নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক ব্যয় ও সময় কমানোসহ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি আসবে যা, বাজেট বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
এডিবি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, প্রকল্পগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিবিড় জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। প্রতিমাসে কাজের অগ্রগতি, ব্যয় ইত্যাদি মন্ত্রণালয়ে দাখিলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মেয়াদ শেষে কোনো প্রকল্প কর্মকর্তা এডিবি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সে কর্মকর্তার এসিআরে তা লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং এরই ভিত্তিতে তার পদোন্নতি বিলম্বিত হওয়ার মতো নির্দেশনা থাকতে হবে। তিনি কারিগরি শিক্ষা খাতসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা পরিহার করে বিত্তবানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, জাতি কারিগরি শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষায় এগিয়ে আসতে পারলেই বিদেশে আমাদের কর্মসংস্থানের মান বৃদ্ধিসহ রেমিটেন্সের প্রবাহ কয়েকগুণ বাড়বে।
স্বাস্থ্যখাতে বাজেটের বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ তদারকি ব্যবস্থার জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দিয়ে সিএমসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশে খাদ্যদ্রব্য বিক্রেতা কর্তৃক সব স্তরেই ভেজাল ও রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য প্রতিরোধ করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ পৃথক বিভাগ সৃষ্টি করে সারা দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ রাখা কাম্য নয়। অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিএমসিসিআই সভাপতি আশা করেন, দেশের অগ্রযাত্রা যেভাবে এগিয়ে চলছে তাতে এ বাজেট বাস্তবায়ন হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট