চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সংবাদ সম্মেলনে খ্রিস্টান মিশন

বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান

১৪ জুন, ২০১৯ | ১:১০ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মীয় এক গুরুর বিরুদ্ধে খ্রিস্টান ক্যাথলিক মিশনসহ স্থানীয় ২০ জনের প্রায় একশ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
বান্দরবান শহরের রিস্বংসং রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে ১২ জুন দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, স্বর্ণ জাদী ও রামা জাদীর প্রতিষ্ঠাতা উ প ঞঞা জোত মহাথের প্রকাশ উচহ্লা ভান্তে সাধারণ মানুষের জায়গা-জমি দখল করে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান ফাতিমা রাণী ক্যাথলিক মিশন গির্জার ফাদার জেরোম ডি রোজারিও, বোমাং সার্কেলের হেডম্যান রাজপুত্র নুমং প্রু মারমা, বড়ুয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফিলিপস ত্রিপুরা, আমেনা বেগম প্রমুখ। ফাদার জেরোম ডিথ রোজারিওসহ অন্যরা অভিযোগ করে বলেন, উচহ্লা ভান্তে একজন ধর্মীয় গুরু। তারপরও তিনি কীভাবে আরেকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেন, বিষয়টি আমার বোধগম্য হয় না। ক্যাথলিক মিশনের ৫.৫৭ একর জমি উচহ্লা ভান্তের পিতার কাছ থেকে কেনা হয়েছিল। এই জায়গা থেকে উৎপাদিত ধান দিয়ে চলতো মিশনের শিশুদের খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু ২০১৪ সালে রাতের অন্ধকারে জায়গাগুলো দখল করে নেয়া হয়। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। হেডম্যান রাজপুত্র নুমং প্রু বলেন, আমার পিতা প্রয়াত রাজা মংশৈপ্রু চৌধুরীর আমল থেকেই জায়গাটি আমাদের দখলে ছিলো। ৮ একর জায়গায় আমাদের ধানের চাষাবাদ ছিল। কিন্তু গভীর রাতে জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছেন উচহ্লা ভান্তে। শুধু আমার জমি নয়, পার্শ^বর্তী ২০ জনের প্রায় একশ একর জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন তিনি। আমরা জমি ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। বড়ুয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া বলেন, রামজাদীর প্রতিষ্ঠাতা উচহ্লা ভান্তে একজন বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু। ধর্মীয় নেতা হিসাবে আমরা তাকে সম্মান করি। কিন্তু ধর্মীয় নেতা হওয়ার পরও তিনি বড়ুয়া সমিতিসহ ২০ জনের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন। যে কারণে তার সঙ্গে নিজের ধর্মের লোকজনের বিরোধ চলছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট