চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মিশ্র ফলে সুবাসিত পার্বত্যাঞ্চল

অনলাইন ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৯ | ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

পার্বত্যাঞ্চলে প্রতিদিন বসছে মৌসুমী ফলের হাট। কারণ এ বছরও মিশ্র ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে সেখানে। বিভিন্ন বাহারি ফলের সুবাসে সুবাসিত পাহাড়। নানা ধরনের এসব রসালো ফলে ভরপুর এখন বাজার।

রাঙামাটির হাট-বাজারগুলোতে এখন চোখজুড়ানো মৌসুমী ফলের সমারোহ। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে উন্নত জাতের কাঁঠাল, আনারস, লিচু ও আম। চাহিদা অনেক, দামও কম। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে হাট-বাজারে। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মিলছে যেকোন ফল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুষ্টিগুণে ভরপুর পাহাড়ে উৎপাদিত এসব ফলের চাহিদা এখন দেশজুড়ে। সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
রাঙামাটি জেলা কৃষি তথ্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে রাঙামাটিতে আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলা নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু, জুরাছড়ি, রাজস্থলী ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় এসব ফলের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। জুম চাষের পাশাপাশি কৃষকদের মিশ্র ফল চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে। তাই ১২ মাসই মিলছে পাহাড়ে কোন না কোন ফল। এরই মধ্যে পাহাড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে রেগুয়াই ও আম্রপালি। একইসাথে বাজার দখলে আছে লিচুর। চায়না-২, চায়না-৩ জাতসহ মিলছে বোম্বে লিচু। শুধু রাঙামাটি জেলায় লিচুর বাগান রয়েছে সাড়ে ১৮ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। আনারস ৪ হাজার ২০০ হেক্টর ও কাঁঠাল আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৮৬৩ হেক্টর জমিতে। আর আমের বাগান রয়েছে ৩ হাজার ৩৭০টি।
রাঙামাটির স্থানীয় ফল চাষী রাসেল চাকমা জানান, পাহাড়ে এবার আগাম মৌসুমী ফল এসেছে। অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে বিভিন্ন ফলমূল গাছে পেকে গেছে। তাই ফলগুলোর স্বাস্থ্য তেমন ভালো হয়নি। তবে ফলন বাম্পার হয়েছে। হিমাগার না থাকার কারণে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না এসব পচনশীল দ্রব্য। তাই লাভ না করে বিক্রি করতে হচ্ছে কষ্টের উৎপাদিত ফল।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, সহজ পরিবহন ও সুষ্ঠু বাজারজাত ব্যবস্থা না থাকায় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে শুধু কাঁঠাল-আনারস নয়, পার্বত্যাঞ্চলে প্রতি বছর বিভিন্ন জাতের কোটি কোটি টাকার ফল নষ্ট হচ্ছে। তাই লাভের মুখ দেখছে না ব্যবসায়ীরা।
রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাঙামাটিতে বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। ফলনও হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক। বিশেষ করে উন্নত ও আধুনিক চাষাবাদের কারণে পাহাড়ে যেকোন মৌসুমে ফল পাওয়া যাচ্ছে। তবে পাহাড়ি অঞ্চলের মৌসুমী ফল সংরক্ষণ ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের স্বার্থে হিমাগার স্থাপন খুবই প্রয়োজন।

পূর্বকোণ/ময়মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট