চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাজস্থলীতে তুইনুমং মারমা হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২ প্রতিনিধি আটক

কাপ্তাই সংবাদদাতা

২৭ নভেম্বর, ২০২০ | ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

রাজস্থলীতে তুইনুমং মারমা হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি দুই জনপ্রতিনিধিকে আটক করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কাপ্তাইয়ের চিৎমরমে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা (৫৫) ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা (৫০)।

ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা চন্দ্রঘোনা থানাধীন উজানছড়ি এলাকার মৃত মংবা মারমার ছেলে। ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন চংড়াছড়ি পূর্বপাড়ার খিজা মারমার ছেলে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক দু’জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজস্থলী থানা পুলিশ।

গুলিতে নিহত তুইনুমং মারমার জেঠাতো ভাই মংক্যচিং মারমা জানান, আমার ভাইকে হত্যার পর তার মা ওয়াংচিং মারমা বাদি হয়ে ২৬ নভেম্বর রাজস্থলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের দুইজন এজাহারভুক্ত আসামিকে আটক করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা একইসঙ্গে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত অন্য আসামিদের আটকের দাবি জানাই ও হত্যাকারীদের বিচার চাই।

এ প্রসঙ্গে রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছেন। আটককৃতদের রাজস্থলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের শনিবার (আজ) রাঙামাটি আদালাতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ নভেস্বর রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাসিন্দা তুইনুমং মারমাকে গুলি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরদিন ২১ নভেম্বর তার পরিবারের সদস্যরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিলে ২২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতাকর্মীদের দায়ী করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে রাজস্থলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা ওয়াংচিং মারমা।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট