চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অননুমোদিত ওষুধ বিক্রি: ৩ ফার্মেসিকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ নভেম্বর, ২০২০ | ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

অননুমোদিত ওষুধ ও ফার্মাসিস্টবিহীন বিনা লাইসেন্সে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে ৩ ফার্মেসিকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ রবিবার সকাল ১১ টায় লালখান বাজারের চানমারী রোডে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিভিন্ন কোম্পানীর ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও বিদেশি অননুমোদিত ওষুধ জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়।

অভিযানে ওষুধ প্রশাসনে  তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান জানান, অভিযানে প্রথমে মেসার্স পপুলার মেডিসিন সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ওষুধের প্যাকেটের মধ্যে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রেখে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত ওষুধ প্রশাসনের ইস্যুকৃত লাইসেন্সে স্পষ্ট উল্লেখ আছে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা যাবে না। তারা এইভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশি অননুমোদিত ওষুধ ও বিপুল পরিমানে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ আইন অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার মাঝুরী মেডিসিন-এ  গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে লাইসেন্স গ্রহণ করলেও পাইকারী কার্যক্রম অনেক দিন ধরেই পরিচালনা করছে, এছাড়াও ওষুধ রিজার্ভের জন্য দুইটি আলাদা গুদাম রয়েছে। গুদামের জন্য ওষুধ প্রশাসনের কোনো অনুমতি প্রতিষ্ঠানটি নেয়নি।  মূলত রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যেই খুচরা বিক্রির লাইসেন্স গ্রহণ করেও পাইকারী বিক্রি করছিলো প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ আইন অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আলম মেডিকেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, লাইসেন্স ব্যতীত প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা কর হয় এবং লাইসেন্স করার জন্য ২০ দিন সময় নির্ধারন করে দেয়া হয়।

জনস্বার্থে ভেজাল ওষুধ, বিদেশি অননুমোদিত ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট