চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

হালিশহর এ ব্লক

সড়ক নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২ নভেম্বর, ২০২০ | ১:৩২ অপরাহ্ণ

নগরের হালিশহরের এ ব্লকে অনুমোদিত নকশার চেয়ে কম প্রশস্তের সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগের মুখে বর্তমানে সড়কটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, হাউজিং অ্যাস্টেটের ১৯৭৮ সালের প্লান অনুযায়ী হালিশহরের এ ব্লকের ৪ নম্বর সড়কটি নালাসহ ৪৫ ফুট প্রশস্তের হওয়ার কথা ছিল। তবে এতদিন ধরে সড়কটি পরিপূর্ণভাবে না হওয়ায় সড়কের এক পাশ বেদখল হয়ে যায়। খোলা জায়গা থাকায় অনেকেই তাঁদের দোকান সম্প্রসারণ করেন। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন ৩০ ফুট প্রশস্ত সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে। এতে সেই দোকানের সামনের একাংশ ভাঙা পড়ে। তবে ৪৫ ফুট প্রশস্ত সড়ক করা হলে সেই দোকানগুলোর আরও বড় অংশ ভাঙার মুখে পড়বে। তাই যেসব মালিক দোকান সম্প্রসারণ করেছেন তাঁরাও চান সড়ক ৩০ ফুট প্রশস্তের বেশি না হোক।

গতকাল রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এস ও এস শিশু পল্লী ও সুপার মার্কেটের মাঝখান দিয়ে দক্ষিণে চলে গেছে সড়কটি। সেই সড়কের মুখে ‘রোডটি ৪৫ ফুট করতে হবে’ দাবিতে দুটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

সেখানে কথা হয় এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল আজিজের সঙ্গে। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী ৪৫ ফুট প্রশস্তের সড়ক চাই আমরা। কারণ ৩০ ফুট হলে সড়কটি বর্তমানের মতো সংকুচিতই থাকবে। এতে একদিকে আমাদের হাঁটাচলায়  যেমন সমস্যা হচ্ছে, অন্যদিকে সড়কও বেদখল হয়ে যাচ্ছে।’

একই দাবি তুলে সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সবুজ পূর্বকোণকে বলেন, সড়ক দখল করে মার্কেটের গলির মুখে অনেকেই দোকান সম্প্রসারণ করেছেন। এতে মার্কেটের ভেতরের দোকানিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি ব্যস্ততম সড়কটিও ছোট হয়ে গেছে। নকশা অনুযায়ী সড়ক সম্প্রসারণ করা হলে সেসব দোকানের অবৈধ অংশও উচ্ছেদ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। একই কথা বলেন মার্কেটের মালিকপক্ষদের একজন নাসিরুল মাওলা।

মার্কেটটিতে সবমিলিয়ে ৪৮টি দোকান রয়েছে। সড়কটির পাশে পড়েছে পাঁচটি দোকান। এই দোকানগুলো সামনে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

একই সময়ে দোকান ভাঙনের মুখে পড়া ব্যবসায়ীদের দুজন খন্দকার আবদুর রহিম ও বাবু সেখানে হাজির হন। তাঁরা পূর্বকোণের কাছে দাবি করেন, দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ তাঁদের সরাতে ষড়যন্ত্র করছে।

এই দুই ব্যবসায়ী আরও বলেন, সুপার মার্কেটটি একদিন বহুতল ভবনে রূপান্তরিত হলে সামনে পার্কিংয়ের জায়গার প্রয়োজন হবে। এখন ৪৫ ফুট প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করা হলে তখন আর পার্কিংয়ের জায়গা থাকবে না। তাই সড়ক ৩০ ফুট যেন হয়।

সড়কটিসহ এলাকার উন্নয়নকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘সড়কটি ৩০ ফুটই হবে। কারণ হাউজিং এস্টেট আমাদের (সিটি করপোরেশন) ৩০ ফুটই বুঝিয়ে দিয়েছে।’

নকশা ও এলাকাবাসীর দাবির বিষয়টি জানানো হলে মোরশেদ আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘কারা ৪৫ ফুট প্রশস্ত সড়কের দাবি করছেন তা তাঁর জানা নেই।’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট