চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী

ইমাম হোসাইন রাজু

২৭ অক্টোবর, ২০২০ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে মৃত্যুর হার কমলেও কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণের। গত এক মাসের তুলনায় চলতি মাসের ২৫ দিনে মৃত্যুর হার প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ কমলেও আক্রান্তের হার বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ চট্টগ্রামে ফের করোনা শনাক্তের হার উর্ধ্বমুখী। চিকিৎসকদের শঙ্কা করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হতে যাচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বয়ং স্বাস্থ্য বিভাগও।

এমন পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন থাকলেও এখনও উদাসীন সাধারণ মানুষ। সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি, সব কিছুই মানার প্রবণতা কমেছে মানুষের মাঝে। মূলত মানুষের মধ্যে করোনাভীতি কেটে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ধার ধারছেন না অনেকেই। তবে সচেতন না হলে বড় ধরনের মাশুল গুনতে হবে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং সিভিল সার্জনও। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সাধারণের প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং অধিকতর সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এমন দুঃসংবাদের মধ্যে কিছুটা আশার খবরও আছে। চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনি ক্রমশঃ বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। একই সাথে মৃত্যুর হারও কমে গেল গত মাসের তুলনায়। এরমধ্যে গেল ১২ দিনেই মৃত্যুশূন্য চট্টগ্রাম। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দাবি চিকিৎসকদের।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে নমুনা পরীক্ষায় এবং আক্রান্তের সংখ্যা দু’টিই বেড়েছে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণের হার ছিল ৮ থেকে ৯ শতাংশ। তা এখন প্রায় ১২ থেকে ১৪ শতাংশের বেশি। এরমধ্যে গত সেপ্টেম্বর জুড়ে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন ১ হাজার ৭৪৯ জন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ। সে হিসেবে অক্টোবর মাসে রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা ছিল ১ হাজার ৪৫৭ জন। কিন্তু চলতি মাসের গেল ২৫ দিনেই শনাক্ত হন ১ হাজার ৭৪৯ জন। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হলেও চলতি অক্টোবরে গেল ২৫ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের তুলনায় মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি পূর্বকোণকে বলেন, ‘গত কয়েক মাসে আক্রান্তের হার কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে চলতি মাসে এসে তা উর্ধ্বমুখীতে অবস্থান করছে। যদিও মৃত্যুর হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে আরও খারাপের দিকে চলে যাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সবাইকে এর মাশুল দিতে হবে।’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট