চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পুলিশ চাইলে পারে স্বস্তি ফেরাতে

ঈদে নিরাপত্তা নিয়ে নগরবাসীর অভিমত রমজানকে ঘিরে নগরীতে ৫০০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুন, ২০১৯ | ১:৩০ পূর্বাহ্ণ

পুলিশ আন্তরিকভাবে চাইলে নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন নগরীর অনেক বাসিন্দা। নগরীর ফুটপাতে সারাবছর হকারের উৎপাত, যানজট লেগে থাকলেও রমজানজুড়ে নগরীর চিত্র ছিল ভিন্ন। নগরীর ব্যস্ত এলাকা তিন পুলের মাথা, নিউ মার্কেট মোড়, কিংবা চকবাজারসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সারাবছর ভাসমান হকারের দাপট থাকলেও রমজানজুড়ে এ চিত্র ছিল ভিন্ন। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় যানজটও অনেকটা কম ছিলো বৈকি। সবাই যখন ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতেছে পুলিশ সদস্যরা তখন নগরবাসীর তালাবদ্ধ ঘর পাহারায় সময় কাটিয়েছে। নগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান জানান, আমাদের চেষ্টা ছিলো মানুষ যাতে নির্বিঘেœ কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে পারে। অনেকটা পরিকল্পিতভাবে রমজানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছকে সাজানো হয়েছিলো। সব সময় পরিকল্পনা করেই কাজ করা হয়। তবে এবারে আমরা একটু ভিন্নভাবে চেষ্টা করেছি। রমজানকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রায় ৫০০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। রমজান মাসে বেলা দুইটার পর থেকে মার্কেটগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। এ সময়টায় আমরা নিরাপত্তা বিষয়টি জোর বেশি দিয়েছি। সিএমপি কমিশনার বলেন, ফুটপাতের ভাসমান হকারের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখেছি। পথচারীদের চলাচলের পথ বন্ধ করে ভাসমান হকারদের বসতে দেয়া হয়নি। প্রত্যেক থানা এলাকার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাগুলো নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হয়েছে। প্রত্যেক মার্কেটে স্থায়ী পুলিশ বক্স বসানোর কারণে সাধারণ লোকজন নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে পেরেছে। চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রমজানকে কেন্দ্র করে নগরীর ১৬ থানার বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ বক্স স্থাপনের পাশাপাশি পুলিশের পায়ে হাঁটা টহল টিম, মোটরসাইকেল টহল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে। প্রত্যেক জোনের উপ-কমিশনার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সার্বক্ষণিক তদারকির দায়িত্ব পালন করেছেন। তারাবির নামাজের সময় আবাসিক এলাকায় পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়।
কেনাকাটা করে নির্বিঘেœ মানুষের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের টাকা স্থানান্তরেও চাহিদা অনুযায়ী এস্কর্ট দিয়েছে পুলিশ। বিজিএমই, বিকেএমই’র আওতাধীন গার্মেন্টগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের সময়মতো বেতান ভাতা পরিশোধের বিষয়টিও নজরে রাখা
। ৭ম পৃষ্ঠার ৫ম ক.­

হয়। পুলিশ কমিশনার মাহবুব বলেন, কেনাকাটা করে নিরাপদে স্বজনদের কাছে মানুষের ফিরে যাবার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। সবাই যখন স্বজনের সাথে বাসায় বসে ইফতার কিংবা সেহেরি আনন্দ উপভোগ করেছেন তখন আমার পুলিশ সদস্যরা যে যেখানে দায়িত্বে ছিল সেখানেই তারা খাবারটুকু খেয়েছেন। উৎসাহ দিতে আমি নিজেও তাদের সাথে সড়কের পাশে বসে ইফতার করেছি। রমজান শেষে নাড়ির টানে যখন সবাই গ্রামে ছুটেছে তখন আমরা নগরবাসীর তালাবদ্ধ বাড়িঘর পাহারা দিয়েছি। কতটুকু সফল হয়েছি তার বিবেচনার ভার নগরবাসীর।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট