চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফের কন্টেইনার জাহাজ জট

চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে ১৬টি জাহাজ অপেক্ষমাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুন, ২০১৯ | ২:০৫ পূর্বাহ্ণ

বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ কন্টেইনার জাহাজের সংখ্যা আবার বেড়ে গেছে। গতকাল ১৬টি জাহাজ ভিতরে আসার অপেক্ষায় ছিল।
অপেক্ষমাণ কন্টেইনার জাহাজের সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছিল। এমন কি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও জাহাজ ভিড়েছে। এমন পরিস্থিতি বেশ স্বস্তি দিয়েছিল ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের। বিগত কয়েক সপ্তাহে তার অবনতি ঘটেছে, যা আবারও উদ্বেগের কারণ হয়েছে তাদের জন্য। জাহাজের সংখ্যা এবং অপেক্ষাকাল বেড়ে গেছে। ভিতরে ও বাইরে মোট কন্টেইনার জাহাজ ২৯টি। এগুলোর মধ্যে ১৩টি ভিতরে। তন্মধ্যে ১২টি থেকে কন্টেইনার খালাস এবং রপ্তানি কার্গোভর্তি কন্টেইনার বোঝাই হচ্ছে।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন কন্টেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে যে উন্নতি হয়েছিল তা-ই রয়েছে। যেটুকু হয়েছে তা আমাদের আওতা বহির্ভূত কারণে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকায় কাজ বন্ধ ছিল প্রায় ৭২ ঘণ্টা। এখনও তার জের টানতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ৩দিন অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তা না হলে এ সময়ে ১৫টি জাহাজের পণ্য খালাস এবং রপ্তানি পণ্য শিপমেন্ট সম্ভব হতো। এই সংখ্যক জাহাজ বর্তমানে অপেক্ষায় রয়েছে। অর্থাৎ পরিস্থিতির কোন অবনতি হয়নি। আরও জানান, সাধারণত রমজান এবং বাজেট সামনে রেখে আমদানি বেড়ে যায়। অতীতে দেখা গেছে যে এই বাড়তি আমদানি পণ্যের জাহাজ হ্যান্ডলিং করতে গিয়ে বন্দরকে হিমশিম খেতে হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু ২০১৮ সালে এবং এবারে সেটা অত্যন্ত সফলতার সাথে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অবশ্য শিপিং কোম্পানিগুলোও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। তারা অনেক আগে থেকে এমনভাবে প্ল্যানিং করেছে যেন জটে পড়ে জাহাজকে দীর্ঘ সময় ধরে চট্টগ্রামে নোঙর করে থাকতে না হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. এনামুল করিম-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেশ দক্ষতার সাথে কন্টেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হওয়ার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্দরে আমদানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া হচ্ছে বেশ মন্থরগতিতে। ৪১,৭৩৯ টিইউস কন্টেইনার পণ্য জমে আছে ডেলিভারির জন্য। আর এখানে সুবিধা রয়েছে ৩৭,৬২০টিইউস কন্টেইনারের। কমলাপুর আইসিডিগামী কন্টেইনারও পড়ে আছে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। এই সংখ্যা ১৮৩৪ টিইউস। রেলওয়ের কন্টেইনারবাহী ট্রেন কমে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রতিদিন যেখানে ৪০০ পর্যন্ত কন্টেইনার রেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে যেতে পারে স্বাভাবিক সময়ে সেখানে বর্তমানে নিয়ে যেতে পারছে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ কন্টেইনার।
বর্তমানে আমদানি পণ্যভর্তি ৯২টি জাহাজ রয়েছে জেটিতে এবং বহির্নোঙরে। এগুলোর মধ্যে কন্টেইনারাবাহী ২৯টি বাদে রয়েছে সাধারণ পণ্যবোঝাই ২৪টি, খাদ্যশস্যের ৭টি, সারের একটি, সিমেন্ট ক্লিংকারের ২৩টি, চিনির ২টি এবং ৬টি অয়েল ট্যাংকার।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট