চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জমি সঙ্কটে আটকে চট্টগ্রামে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প

জমি প্রয়োজন ২৫ একর আছে ১০ একর

৯ জুন, ২০১৯ | ১:৫০ পূর্বাহ্ণ

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাত মাস পর জানা গেল প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য মিলছে না প্রতিশ্রুত জমি; আর তাতে আটকে গেছে চট্টগ্রামে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সংগ্রহ করা আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয় গত বছরের ২১ অক্টোবর। কেন্দ্র স্থাপনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং পিডিবি বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন এতে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র করতে দৈনিক আড়াই হাজার টন বর্জ্য বিনামূল্যে সরবরাহের কথা ছিল সিসিসির। পাশাপাশি কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য বিনামূল্যে জমিও দেবে সিটি করপোরেশন। কিন্তু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর জানা যায়, প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি সিটি করপোরেশনের প্রস্তাবিত স্থানে নেই।-বিডিনিউজ
পিডিবির বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেন, ২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে প্রায় ২৫ একর জমি দরকার। কিন্তু জমি পাওয়া যাচ্ছে কম।
সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, ২৫ একর জমির প্রয়োজনীয়তার কথা পিডিবি আমাদের জানিয়েছে। কিন্তু আনন্দবাজার এলাকায় আমাদের জমি আছে ১০ একর। এ বিষয়ে বিপিডিবির চেয়ারম্যানের সাথে আমি আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, এখন যতটুকু জমি পাওয়া যায় ততটুকুতেই আমরা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। তবে এখন প্রকল্পটির বিষয়ে এলজিইডি মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করছে। তারা বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কাজ করবে।
সামসুদ্দোহা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে, পরিবেশ দূষণ কমাতে এবং বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এর আগে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি। পিডিবি আগ্রহী হওয়ায় আমরা আশাবাদী।
বর্জ্য পুড়িয়ে তাপ উৎপাদিত হলে সেই তাপে পানি বাষ্পীভূত করে তা দিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল প্রস্তাবে। উৎপাদিত ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পিডিবির মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
শর্ত অনুসারে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী তৃতীয় পক্ষ বাছাই করবে পিডিবি। এরপর তাদের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে প্রকল্পের পূর্ত কাজ শুরু হবে। বিওও (বিল্ড, ওন অ্যান্ড অপারেট) পদ্ধতিতে কেন্দ্রটি নির্মিত হবে।
সামসুদ্দোহা বলেন, নগরীতে যে আবর্জনা হয় তার ৮০ শতাংশ আমরা সংগ্রহ করি। ২০ শতাংশ এখনও ড্রেনে, খালে, নালায় ফেলা হয়।
এসব আর্বজনা ওপেন ডাম্পিং করা হয় হালিশহরের আনন্দবাজার এবং বায়েজিদের আরেফিন নগর এলাকায়। আর্বজনাকে কাজে লাগাতে আনন্দবাজারে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি করার পরিকল্পনা করা হয়। কেন্দ্রটি হলে নগরীতে ক্রমবর্ধমান বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য আমাদের আর নতুন স্থান খুঁজতে হবে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরী থেকে দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে বলে সিসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তথ্য।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট