চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাজার চড়া এলপি গ্যাসের

আল-আমিন সিকদার

৪ অক্টোবর, ২০২০ | ১:০১ অপরাহ্ণ

চলতি মাসে বিশ্ববাজারে প্রতিটন লিকুইড গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৩৭৮.৫ ডলারে। যা গত সেপ্টেম্বর মাসেও ছিল ৩৫৮ ডলার। প্রতিটন লিকুইডে ২০.৫ ডলার করে দাম বৃদ্ধির এ প্রভাব পড়েছে দেশের খুচরা বাজারে। এতে করে ১২ কেজির প্রতিটি বেসরকারি এলপি গ্যাসের বোতলে ২০-৩০ টাকা করে মূল্য বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। খুচরা বাজারে গিয়ে যা বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে। চলতি মাসের শুরু থেকেই তাই বোতল জাত এলপি গ্যাসের বাজার চড়া। তবে স্থিতিশীল রয়েছে সরকার অধীনস্থ এলপি গ্যাস লিমিটেডের গ্যাসের দাম। বেসরকারি কোম্পানিগুলো ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বাড়ালেও উল্টো ১শ টাকা কমিয়ে এখনও ৬শ টাকা করে ১২.৫ কেজির গ্যাসের বোতল বিক্রি করছে এলপি গ্যাস লিমিটেড।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ওমেরার প্রতিটি গ্যাসের বোতল ডিলারদের ক্রয় করতে হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। যা গত মাসেও ছিল ৭৬০ টাকা। ডিলাররা তাদের কমিশনের টাকা বাদ দিয়ে প্রতিটি বোতল দোকানদারদের কাছে বিক্রি করছেন ৭০০ টাকা। যা খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৭৮০ টাকা। যা রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে একজন ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ৮০০-৮৩০টাকা। কারণ দোকান থেকে বাসা পর্যন্ত যে ব্যক্তি বোতলটি বহন করে নিয়ে যান তাকেও ৩০-৫০ টাকা চার্জ দিতে হয়। সবমিলিয়ে গত মাসেও অন্তত ৬০ টাকা কমে কিনেছিলেন গ্রাহকরা। একইভাবে প্রতিটি বেসরকারি এলপি গ্যাস কোম্পানি চলতি মাসে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে মূল্য। তবে বেশিরভাগ কোম্পানি ২০ টাকা বাড়ালেও ৩০ টাকা করে বাড়িয়েছে পেট্রোমেক্স। হঠাৎ এলপি গ্যাসের দাম কিছুটা বাড়তি মূল্যে বিক্রি করছে কোম্পানিগুলো। যে কারণে বাজারদরে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর এলপি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর ডিলার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এজাজুল হক। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে জানিয়ে কোম্পানিগুলো আমাদের কমিশন থেকে ২০-৩০ টাকা করে কেটে নিচ্ছেন। চলতি মাস থেকেই কমিশন কাটা শুরু করে দিয়েছে তারা। আমরাও ছোট ডিলারদের কাছে পূর্বের মূল্যের চেয়ে ২০-৩০ টাকা করে বাড়তি নিচ্ছি। যা খুচরা বাজারে গিয়ে ৫০-৬০ টাকা করে বেড়েছে।’
বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি এলপি গ্যাস আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ওমেরার উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) রুকনুজ্জামান পূর্বকোণকে বলেন, ‘এলপিজি তৈরি হয় প্রপেন ও বিউটেন নামের গ্যাসের মিশ্রণে। এই প্রতিটন লিকুইড গতমাসেও আমরা ক্রয় করেছি ৩৫৮ ডলারে যা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বেড়েছে ২০.৫ ডলার। এখন প্রতিটন লিকুইড গ্যাস বিশ্ববাজার থেকে আমাদের ক্রয় করতে হচ্ছে ৩৭৮.৫ ডলার দিয়ে। শুধু তাই নয়, প্রতিটন লিকুইড গ্যাস আমদানিতে জাহাজ বাবদ খরচ পড়ে ১২০ ডলার। সবমিলিয়ে হিসেব করলে বোতল প্রতি ২০ টাকা করে খরচ বেড়েছে। তাই চলতি মাস থেকেই ২০ টাকা করে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে দাম। পূর্বে ডিলারদের কাছে আমরা বোতল প্রতি গ্যাস বিক্রি করতাম ৭৬০ টাকা। এখন এটা করা হয়েছে ৭৮০ টাকা। তবে অনেক কোম্পানি ৩০ টাকা করেও বাড়িয়েছে।’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট