চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিনোদনকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় ঈদ আনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ জুন, ২০১৯ | ২:১৬ পূর্বাহ্ণ

ঈদ উপলক্ষে নগরীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র ও পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। ঈদের প্রথম দিন বিকেল থেকেই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ও বয়সের মানুষ। সেখানে প্রিয়জনদের সাথে কিছু সময় ব্যয় করেন। নগরীর ফয়’স লেক, সি ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ পার্ক, বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্ক ও নেভালে ঈদের দিন থেকে উপচে পড়া ভিড় ছিল। এছাড়াও, আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো লক্ষনীয়। নগরীর জনপ্রিয় বিনোদন স্পোট ফয়’স লেক ও সি-ওয়ার্ল্ডে সময় কাটানোর জন্য ছুটে এসেছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। নৌকা ভ্রমণ, সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফেরিস হুইল, ফ্যামিলি ট্রেইন, প্যাডেল বোট, ফ্লোটিং ওয়াটার প্লেসহ রয়েছে বিভিন্ন রাইড। এসব রাইডে আনন্দে মেতে উঠেন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ। এ সম্পর্কে ফয়’স লেক এমিউজমেন্ট পার্কের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, ঈদের ছুটিতে ফয়’স লেক ও সি ওয়ার্ল্ডে প্রচুর দর্শনার্থী আসতে শুরু করে। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটাতে বিনোদন প্রেমীরা ফয়’স লেক ও সি ওয়ার্ল্ড বেছে নেয়। ঈদের প্রথম দিন বুধবার প্রায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ জন দর্শনার্থী এসেছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রায় ৫ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ দর্শনার্থী এসছে এবং গতকাল শুক্রবার প্রায় ৬ হাজার দর্শনার্থী এসেছে। দর্শনার্থীর এই ভিড় আরো কয়েকদিন থাকবে বলে আশা করছি। নগরীর শিশু পার্কগুলোতে দেখা যায়, শিশুদের পাশাপাশি বিনোদনপ্রেমী নানা বয়সী দর্শনার্থী পার্কে সময় কাটাচ্ছেন। এখানে শিশুরা দোলনা, টয় ট্রেন,

ম্যাজিক নৌকা, আনন্দ ঘূর্ণি, ঝুলানো চেয়ার, ফুলদানি আমেজ, উড়ন্ত নভোযান রাইডসহ বিভিন্ন রাইডগুলোতে চড়তে দেখা যায়। এসময় বড়দের আড্ডা আর সেলফিতে সময় কাটাতে দেখা যায়। নগরীর দেওয়ানহাট থেকে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আসেন রেলওয়ে স্কুলের শিক্ষিকা উম্মুল হাফছা। এসময় তিনি বলেন, এই ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। তাই বাচ্চাদের নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরতে আসা। এতে বাচ্চারা অনেক খুশি এবং গ্রামে যেতে না পারার কষ্টটা কিছুটা হলে কমবে। এছাড়া নগরীর বাইরে আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে ঈদের দিন দুপুর থেকে ছিল প্রচুর ভিড়। নগরী ও যানজট থেকে কিছুটা দূরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সমুদ্রের ছোঁয়া পেতে পারকি সমুদ্র সৈকতে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। পারকি সৈকতে সমুদ্র প্রেমীদের বিভিন্নভাবে সময় কাটাতে দেখা যায়। কেউ সাগরে গোসল করছে, কেউ সাগর পাড়ে ফুটবল খেলছে, কেউ বা সেলফি তুলতে ব্যস্ত। আর কাউকে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়। বর্তমানে পারকি সমুদ্র সৈকতের অন্যতম আকর্ষণ জাহাজ।
পারকি সৈকতে ঘুরতে আসা ভাই-বোন আয়েশা সিদ্দিকা ও মাশুক বাবুর সাথে কথা হলে বলেন, কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ কিংবা সময় কোনটায় না থাকায় পারকি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা। এটা কক্সবাজার থেকে কোন অংশে কম নয়। সমুদ্রটা অনেক ভালো লাগে। এছাড়া, এখন সাগর পাড়ে যে জাহাজটি আটকে আছে, এটা পারকির সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করি। জাহাজ থাকে সাগরের মাঝে কিন্তু এখানে দেখছি সাগর পাড়ে জাহাজ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট