নগরীর সড়কবাতির সুইচ অন-অফ কাজে নিয়োজিত ইমাম, মোয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের বাৎসরিক সম্মানি ভাতা বিতরণ করেছেন সিটি মেয়র আলহাজ আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। গত ৬ জুন সকালে সিটি কর্পোরেশন থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিটি মেয়র এ সম্মানির টাকা সংশ্লিষ্ঠদের হাতে তুলে দেন। সম্মানি ভাতা বাবদ প্রথম দফায় ৮৪৭ জনকে সর্বমোট ২১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫শত টাকা সম্মানিভাতা প্রদান করা হয়। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মোট বাতির সংখ্যা ৫১ হাজার ৫৭৩টি। প্রতিদিন এই ১৫৩৪ জন ব্যক্তি ১৫৩৪টি সুইচিং পয়েন্ট থেকে সন্ধ্যায় বাতি সুইচ অন এবং ভোর বেলা বাতির সুইচ অফ করেন। এই সব সুইচিং পয়েন্টের নিকটস্থ মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, মন্দির ও গির্জার পুরোহিতদের মাধ্যমে একটি সুপরিকল্পিত উপায়ে নগরীর সকল সড়ক বাতির সুইচ অন-অফ করা হয়। এর ফলে জনবল ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় বাবদ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বছরে ২ কোটি ২৭ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬শত ৭৫ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। সম্মানি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, শৈবাল দাশ সুমন এবং চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন জহুরুল আলম জসীম, মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলুন কুমার দাশ প্রমুখ। এসময় সিটি মেয়র বলেন, ধর্ম পালনের পাশাপাশি আপনারা এই মহৎ কাজ করে নগরসেবা ও জাতীয় দায়িত্ব পালন করছেন। আমি মনে করি এই কাজটি ইবাদতের অংশ। আপনারা এই সেবাদানের মাধ্যমে নগরবাসীর কল্যাণ ও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয় সভা : আরেফিন নগর ও হালিশহর আবর্জনা ডাম্পিংয়ে ময়লার গাড়ি নিরুপণের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিলেন সিটি মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দীন। গত ৬ জুন বিকেলে কেবি আবুদচ ছত্তার মিলনায়তনে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগে কর্মরত সুপারভাইজাদের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান ছিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। মেয়র বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রমের উপর নগরীর সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ নির্ভর করে। তাই পরিচ্ছন্ন সুপার ভাইজার, পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে। এতে রক্ষিত হবে পরিবেশ বান্ধব চট্টগ্রাম নগর। তিনি বলেন, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আবর্জনা নিয়ে দুটি টিজিতে কি পরিমাণ ময়লা আবর্জনা ডাম্পিং করে তার কোন সঠিক হিসেব নেই। সঠিক হিসেবের জন্য দুটি টিজিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত দেন মেয়র। তিনি আরও বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ও আন্তরিকতার মাধ্যমে আমাদের শহরকে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। -বিজ্ঞপ্তি