চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

লামায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু

লামা প্রতিনিধি

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৫:০০ অপরাহ্ণ

লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিদ্যুতের লাইনে কাজের সময় স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যুৎ শ্রমিকের সাথে মারামারি ঘটনার ২দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

মৃত বিদ্যুৎ শ্রমিক মো. হাবিবুল্লাহ (৪২) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের এস.এম চর গ্রামের মৃত আজিজ এর ছেলে। সে ছয় সন্তানের জনক।

নিহত হাবিবুল্লাহ’র স্বজন ও কাকারা এলাকার বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন এবং মগনামা এলাকার লোকজন জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মগনামা পাড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লাইনে কাজ করার জন্য চকরিয়া হতে ৩/৪ জন শ্রমিক যায়।

সেখানে বিদ্যুৎ লাইনের কাজের বিষয়ে বিদ্যুৎ শ্রমিকদের স্থানীয় আবুল কালাম বাচ্চু, মো. মনু, নুরুল হুদার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নুরুল হুদাসহ অন্যান্যরা কাঠের টুকরা নিয়ে বিদ্যুৎ শ্রমিক হাবিবুল্লাহ মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। হাবিবুল্লাহ গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আবুল কালামসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।

এদিকে হাবিবুল্লাহ’র মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করের। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, ফাইতং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি থোয়াই সানু মার্মা সহ প্রমূখ।

এই ঘটনায় নিহতের পরিবারে পক্ষ থেকে ঘাতকদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হয়েছে। তারা চট্টগ্রাম থেকে লাশ নিয়ে আসছে। শনিবার লাশের দাফন-কাফন শেষে রবিবার তাদের লামা থানায় আসতে বলা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট