চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নতুন করে সাজানো হচ্ছে অথরাইজড বিভাগ

ইমরান বিন ছবুর

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:২৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিল্ডিং ইন্সপেক্টরদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সিডিএ’র অথরাইজড বিভাগের উদাসীনতা ও সহযোগিতায় নকশা-বহির্ভূত ও অনুমোদনহীন ভবন নির্মিত হচ্ছে বলে অভিযোগ নগর পরিকল্পনাবিদদের। ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনে গেলেও ভবন মালিকদের সাথে ‘ম্যানেজড’ হয়ে যাওয়ার অভিযোগও অহরহ। ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন গড়ে উঠছে নকশা-বহির্ভূত ভবন। একই পদে সাত-আট বছর ধরে রয়েছেন এমন ইন্সপেক্টরও রয়েছেন।
সম্প্রতি সিডিএ’র দুই অথরাইজড অফিসারকে বদলির পর পাঁচ বিল্ডিং ইন্সপেক্টরকে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়াদের মধ্যে কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, পছন্দের ইন্সপেক্টরদের রেখে বাকিদের বদলি করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে অথরাইজড বিভাগের প্রধান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বদলি করা হয়েছে এবং বাকিদের বদলি করা হবে।
সিডিএ’র অথরাইজড বিভাগের তথ্যমতে, অথরাইজড বিভাগে দুইজন অফিসারের তত্ত্বাবধানে চারজন সহকারী অথরাইজড অফিসার ও ১৪ জন ইন্সপেক্টর রয়েছে। অথরাইজড-১ এ সাতজন ইন্সপেক্টর ও অথরাইজড-২ এ সাতজন ইন্সনপেক্টর রয়েছে। ইন্সপেক্টর সৈকত দাশ ও শাহাদাতকে অথরাইজড বিভাগ-১ থেকে ২ এ বদলি করা হয়েছে। এছাড়া, ইন্সপেক্টর খোকন কুমার শীল, প্রিয়তোষ দাস ও মো. আবুদ সৈয়দকে অথরাইজড বিভাগ-২ থেকে ১ এ বদলি করা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর সিডিএ’র এক অফিস আদেশে এই বদলি করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজেশন বিভাগ এর কাজে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ইমারত পরিদর্শকগণের নির্ধারিত এলাকা সম্বন্ধীয় দায়িত্ব পুনঃ বিন্যাস করা হলো। যা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে অথরাইজড বিভাগের প্রধান শাহিনুল ইসলাম খান বলেন, বছরের পর বছর ধরে একই পদে থাকার ফলে অনেক ইন্সপক্টের অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত হওয়ার সুযোগ থাকে। তাই বিল্ডিং ইন্সপেক্টরদের বদলি করা হয়েছে। ১৪ জন ইন্সপেক্টরের মধ্যে পাঁচজনকে বদলি করা হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাকিদেরও বদলি করা হবে। একসাথে সবাইকে বদলি করা হলে কাজের কিছুটা ক্ষতি হবে, তাই সবাইকে একত্রে বদলি করা হয়নি।
নকশা-বহির্ভূত ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে পরিমাণ ইন্সপেক্টর প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। ফলে অনেক সময় যথাযথভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। তবে এখন থেকে সপ্তাহে দু’একদিন ইন্সপেক্টরদের সাথে অথরাইজড অফিসার ও আমি পরিদর্শনে যাবো। এছাড়া, ইন্সপেক্টরদের নজরদারিতে রাখা হবে।
জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ জানান, যেসব ইন্সপেক্টরদের কাজ বাকি আছে, তাদের ছাড়া বাকিদের বদলি করা হয়েছে। একসাথে সব ইন্সপেক্টরকে বদলি করা হলে কাজের সমস্যা হবে। এছাড়া, আমাদের লোকবলও কম। মামলা জটিলতায় অনেক বছর যাবত লোকবল নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে মামলা নিষ্পত্তির কাজ চলছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে জনবল সংকট দূর হবে আশা করছি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট