বৈরি আবহাওয়ায় উত্তাল বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে কক্সবাজারের উপকূলে আছড়ে পড়ছে। কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবৎ থাকায় মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। এতে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে।
গত রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেড়াতে গিয়ে রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে থেকে যাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পর গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে জাহাজ না যাওয়ায় এসব পর্যটক আটকা পড়েন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, রবিবার কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও টেকনাফ থেকে কয়েকটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসেন। অর্ধেক পর্যটক বিকেলে ফিরতি জাহাজ ও ট্রলারে করে টেকনাফ-কক্সবাজার ফিরে যান। শতাধিক পর্যটক দ্বীপের রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেন্টমার্টিনে থেকে যান। বৈরি আবহাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তবে সবাই নিরাপদে আছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দ্বীপে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। স্থানীয় পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের আটকেপড়া পর্যটকদের খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/আরপি