বেশি দামে পণ্য বিক্রয়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা , মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অননুমোদিত পণ্য বিক্রির দায়ে ৮ প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর । আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নগরীর কোতয়ালী ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
কোতয়ালী থানার খাতুনগঞ্জ এর হামিদুল্লাহ্ মার্কেটের পেঁয়াজের পাইকারি দোকানসমূহ পরিদর্শন করে পেঁয়াজের মজুদ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। আল আরফাত ট্রেডার্সকে তার প্রদর্শিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। ব্যবসায়ীবৃন্দকে যৌক্তিক মুনাফা করতে, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সঠিক রশিদ সংরক্ষণ ও প্রদান করতে এবং হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হয়।
বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের প্রদর্শিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করায় খাজা আজমীর স্টোরকে তিন হাজার টাকা, নিলয় এন্টারপ্রাইজকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় তিন হাজার টাকা, বহদ্দারহাট সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের আনসারি ব্রাদার্সকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এনামুল হক সওদাগরের মাংসের দোকানকে মাংসে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রং সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
চান্দগাঁও আবাসিকের সানোয়ার স্টোরকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত রং ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়। কি-ফুড ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও অননুমোদিত পণ্য রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। জাওয়াদ স্টোরকে উৎপাদন-মেয়াদ বিহীন পণ্য সংরক্ষণ ও নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
পূর্বকোণ / আরআর