চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ছবি: ইব্রাহিম মুরাদ

চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে যাত্রী ছিল অর্ধেকরও কম

রেলের সব আসনে যাত্রী নেয়ার দিনই যাত্রী সংকট

যাত্রীরা স্টেশনেই টিকিট মিলছে তা না জানার কারণেই যাত্রী সংকট বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৮:২১ অপরাহ্ণ

প্রায় ৫ মাস পর পুরোদমে কাউন্টারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। আর অনলাইনে শুরু হয় ভোর ৬টা থেকে। তবে সাধারণ যাত্রীরা রেলের এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত না থাকায় ভিড় ছিল না চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে। অধিকাংশ কাউন্টার একেবারেই ফাঁকা দেখা গেছে। যার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে। শতভাগ যাত্রী নিয়ে যাত্রার প্রথম দিনেই যাত্রী সংকটে ভুগেছে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেন।

স্টেশন সূত্র জানায়, শতভাগ টিকিটের মধ্যে ৫০ শতাংশ কাউন্টারে এবং ৫০ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রথম দিনে এ দুটি মাধ্যমে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬০ শতাংশেরও কম। সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ৮৯৯ টি আসন থাকলেও যাত্রীশূন্য ছিল ৪৬৬টি সিট। একই অবস্থা ছিল সকাল ৯টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা, বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মেঘনা ও সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া চট্টলা এক্সপ্রেস ও বিকাল ৫টায় সোনার বাংলা ট্রেনে। পাহাড়িকা ট্রেনে ৬২৬টি আসনের মধ্যে ফাঁকা ছিল ২৪৭টি, মেঘনা এক্সপ্রেসে ৯২৯টি আসনের মধ্যে ফাঁকা ছিল ২৬৪টি, সেনার বাংলা ট্রেনে ৫৮৪টি আসনের মধ্যে ফাঁকা ছিল ২৯০টি এবং চট্টলা এক্সপ্রেসে ৫৭৯ টি আসনের মধ্যে ফাঁকা ছিল ১০৪টি।

বুধবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে দেখা যায়, ৮টি কাউন্টারের মধ্যে ৬টি কাউন্টারে কোনো যাত্রী ছিলেন না। যে দুটিতে যাত্রী ছিলেন, তারা সবাই লোকাল ট্রেনের টিকিটের জন্য এসেছিলেন। অগ্রিম টিকিটের জন্য তেমন কোনো যাত্রী কাউন্টারে আসেননি।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী পূর্বকোণকে বলেন, বুধবার থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার তথ্য এখনও সবার কাছে পৌঁছেনি। বিশেষ করে দিনমজুর ও যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে জানেন না তারা কাউন্টারে টিকিট বিক্রির খবর এখনও জানেন না। তাই প্রথমদিন কাউন্টার ফাঁকা এবং টিকিট বিক্রিও কম।

একই মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার বিষয়টি এখনও আমজনতার কাছে পৌঁছেনি। তাই টিকিট বিক্রিও কম।তবে আশা করছি ধীরে ধীরে যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট