ঈদ বোনাস ও বেতন ভাতার দাবিতে পটিয়া উপজেলার আমজুরহাট এলাকার সান ফ্যাশন গার্মেন্টসে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। গার্মেন্টেসের প্রায় ৭০জন শ্রমিককে ইতোমধ্যে বিনা কারণে ছাঁটাই করা হয়েছে। গার্মেন্টেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির ও এইচআরজিএম (এডমিন) মো. আসিফ শ্রমিক ছাঁটাই কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক এবং পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা গার্মেন্টসের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং শ্রমিক ন্যায্য পাওনা দেওয়ার জন্য মালিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ২০১৮ সালে পটিয়া উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় করিম সল্টের মালিক ব্যবসায়ী রেজাউল করিম গার্মেন্টসটি চালু করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠনটিতে ১১শ নারী ও পুরুষ শ্রমিক রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় সান ফ্যাশন ওয়্যার গার্মেন্টসে বেশ কিছুদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। ওই গার্মেন্টেসের ক্যাড অফিসার রাজিব কুমার রুদ্রসহ প্রায় ৭০জন শ্রমিককে বিনা কারণে ছাঁটাই করা হয়েছে। ঈদ বোনাস ও বেতন না দিয়ে একে একে শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ভয়ে অনেকে মুখ খুলছেন না। পটিয়া উপজেলা, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বোয়ালখালী ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই গার্মেন্টসে কাজ করছেন। ঈদ বোনাস ও নিয়মিত বেতন না দিতে মালিক পক্ষ বিভিন্ন সময় নানা কৌশল অবলম্ব করেন। ক্যাড অফিসসার রাজিব কুমার রুদ্ধ ও ফারজানা আকতার অভিযোগ করেছেন, তাদের ঈদ বোনাস না দিতে মালিক পক্ষ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। বিষয়টি থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি। লোকাল শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়টি ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকেও অবহিত করা হয়েছে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান জানিয়েছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিনা কারণে কোন শ্রমিককে ছাঁটাই না করতে বলা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা করবে। গার্মেন্টেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সান ফ্যাশন গামেন্টসের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ঈদ বোনাস ও বেতন দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ বললে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে। শ্রমিকরা চাইলে মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারবে।