চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাব’র

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৬:৩৬ অপরাহ্ণ

কোন কারন ছাড়াই কিছু দিন পর পর বৈধ আমদানির ছাড়পত্র, এলসি খোলার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট, আড়তদার পরিচয়ে কিছু পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী জনগনকে জিম্মি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছে।জেলা প্রশাসন ২ দিন আগে খাতুনগঞ্জে অভিযান চালালে তাঁরা গতকাল বিক্রি বন্ধ রাখেন। কিন্তু যারা দেশে চোরাচালানী কায়দায় পেপারলেস ব্যবসার নামে জনগনকে জিম্মিকরে সিন্ডিকেটে ব্যবসা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণসহ টিসিবির মাধ্যমে ভোগ্য পণ্য বিক্রি জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

তারা বলেন, ২০১৯ সালেও এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা একই কায়দায় পেয়াঁজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিলো। এবারও তারা একই কায়দায় ক্রেতাদের পকেট কাটছে। দীর্ঘ দু সপ্তাহ ধরে এ অস্থিরতা চলমান হলে জেলা প্রশাসন ২ দিন আগে খাতুনগঞ্জে অভিযান চালালে তাঁরা গতকাল বিক্রি বন্ধ রাখেন। কিন্তু যারা দেশে চোরাচালানী কায়দায় পেপারলেস ব্যবসার নামে জনগনকে জিম্মিকরে সিন্ডিকেটে ব্যবসা করছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেই ধর্মঘটসহ নানা হুমকি প্রদান করছে। অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারনে তারা বার বার এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাই এ অবস্থায় জরুরী ভাবে আমদানিকারকের এজেন্ট পরিচয়ে অবৈধ পেপারলেস ব্যবসা বন্ধ, পেয়াজসহ নিত্যভোগ্য পণ্যের ব্যবসায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত, সরকারের বানিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি, ক্যাব, গণমাধ্যম ও চেম্বার প্রতিনিধি সমন্বয়ে বাজার তদারকি জোরদার, জাতীয় ও স্থানীয় ভাবে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাপ্রতিনিধিদের সাথে জরুরী সভা করে সম্ভাব্য করনীয় নির্ধারন, বিকল্প উৎস থেকে এ সমস্ত ভোগ্যপণ্য আমদানি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় ক্যাবের পক্ষ থেকে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজারে অভিযান পরিচালনা করলেই ব্যবসায়ীরা বিক্রি বন্ধ করে ধর্মঘট করে প্রশাসনের সাথে দেনদরারে চলে যান। আর প্রশাসন বড় বড় ব্যবসায়ীদের চাপে এ সমস্ত অসাধু ব্যবসচায়ী চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহনে কালক্ষেপন করে থাকেন। আর চোরাচালানী কায়দায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া পণ্য বিক্রি, অর্থ লেন দেনের কারনে মানি লন্ডারিং এর মতো অপরাধ বাড়ছে এবং সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। আর এভাবে অবৈধ ব্যবসা চলমান থাকলে দেশে জঙ্গি ও রাজনৈতিক অস্থিরতাখাতে অর্থায়নবৃদ্দিসহ দেশের জন্য হুমকি হতে পারে। আর এ কারনে দেশের বৃহৎ শিল্প ও ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিনিয়তই এই নিত্যভোগ্যপণ্যের বাজারে ঝুুঁকে পড়ছে।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট