৪ জুন, ২০১৯ | ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের আনন্দ পরিবার-পরিজনের সাথে রোগীরাও ছুটছে নিজ নিজ বাড়িতে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অন্যান্য সময় যেখানে বারান্দা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে সিঁড়িতে পর্যন্ত রোগীকে জায়গা দিতে হত, সেখানে গতকাল দেখা গেছে প্রতিটি ওয়ার্ডে অনেক সিট খালি পড়ে আছে। গতকাল আউটডোরেও রোগীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। এদিকে, ঈদের দিন রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্র জানায়, চমেক হাসপাতালে গড়ে প্রায় তিন হাজার রোগী ভর্তি থাকে। আউটডোরেও প্রায় সমপরিমাণ রোগী সেবা নিয়ে থাকে। গতকাল সোমবার তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
চমেক সংবাদদাতা শফিক রায়হান জানান, সকাল থেকেই হাসপাতালের গোল চত্বরে এ্যামবুলেন্স এবং সিএনজি ট্যাক্সির লাইন। রোগীরা একে একে ডিসচার্জ হয়ে কেউ এমবুলেন্সে কেউ সিএনজি ট্যাক্সিতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে। আলাপকালে একাধিক রোগী পূর্বকোণকে জানান, ঈদের দিন পরিবারের সাথে থাকতে পারলে রোগী অর্ধেক ভাল হয়ে যাবে। তাছাড়া পরিবার-পরিজন ফেলে হাসপাতালে একা একা বসে ঈদ করা সম্ভব নয়। তাতে মন খারাপ হবে। আর মন খারাপ হলে শরীর আরো খারাপ হবে। তাই তারা পরিবারের মাঝে ফিরে যাচ্ছেন। তবে সংকটাপন্ন রোগীরা হাসপাতাল ছাড়ছেন না। তবে তাদের আশঙ্কা ঈদের আগের দিন এবং ঈদের দিন চিকিৎসক ও নার্স সংকট থাকতে পারে। তাতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হতে পারে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, পরিবারের সাথে ঈদ করতে অনেক রোগী চলে গেছেন। আরো অনেকেই চলে যাচ্ছেন। তবে যারা যাচ্ছে না তাদের চিকিৎসার অসুবিধা হবে না। হাসপাতালে ঈদের দিনও পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স থাকবে। তিনি জানান, এই হাসপাতালে যারা অন্য ধর্মের চিকিৎসক এবং নার্স আছেন তারা ছুটি পাচ্ছেন না। শুধুমাত্র মুসলিম চিকিৎসক ও নার্সরাই ছুটি পাচ্ছেন। আবার যেসব মুসলিম চিকিৎসক ও নার্সের বাড়ি শহরে তারাও এসে দায়িত্ব পালন করবেন। শুধুমাত্র চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কিছুটা সংকট থাকবে উল্লেখ করে বলেন, এবারের ঈদে অর্ধেক কর্মচারীকে ছুটি দেয়া হচ্ছে। যারা এবার ছুটি পেয়েছেন তারা আগামী কোরবানির ঈদে ছুটি পাবেন না।
উপপরিচালক জানান, ঈদের দিন রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। সাধারণত একজন রোগীর জন্য দৈনিক ১২৫ টাকা বরাদ্দ থাকে। ঈদের দিন তা ২০০ টাকার বেশি হবে।