চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সওজ’র আপত্তিতে ওয়াসার পাইপলাইন স্থাপন কাজ বন্ধ

মোহাম্মদ আলী

১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:২১ অপরাহ্ণ

বৃষ্টির মৌসুমের কারণে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ রয়েছে। কাটাকাটির কারণে সড়কের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আপত্তির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াসা।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ মাহবুবুল আলম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আপত্তির কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্ষায় কাটাকাটির কারণে সড়কের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কায় আপত্তি দেয় সওজ। এ কারণে পাইপলাইনের কাজ বন্ধ রাখে ওয়াসা। বৃষ্টির মওসুম চলে যাওয়ার পর আমরা পুনরায় পাইপলাইনের কাজ শুরু করবো। তবে প্রকল্পের অন্যান্য কাজ পুরোদমে চলছে। তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্পের অধীনে বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় পাইপলাইন বসানো হচ্ছে।’

কর্ণফুলী নদীর ওপারে বোয়ালখালীতে ভাণ্ডালজুড়ি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প ১ ও ২ এবং শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্পের পর নতুন এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ওয়াসা। ‘ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর ওয়াসার পানি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে দৈনিক আরো ৬ কোটি লিটার। দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, কর্ণফুলী ও বোয়ালখালী উপজেলায় পানি সরবরাহ করতে চট্টগ্রাম ওয়াসা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, কর্ণফুলীর নদীর বাম তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোরিয়ান ইপিজেডসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পানি সরবরাহের জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে এই প্রকল্পের পানি শোধনাগার তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকে কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে অবস্থিত শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে যে পানি উৎপাদিত হবে, তার ৭৫ ভাগ সরবরাহ হবে শিল্পাঞ্চলে। অবশিষ্ট ২৫ ভাগ বরাদ্দ হবে আবাসিক গ্রাহকদের।

সূত্র জানায়, কর্ণফুলী নদীর তীরে বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা গ্রামে প্রকল্পের মূল স্থাপনা তৈরির কাজ চলছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই হাজার ১২৬ কোটি টাকা। দক্ষিণ কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পানি শোধনাগার, প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন, কনভয়েন্স ও ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন এবং কোরিয়ান ইপিজেড ও পটিয়ায় ২টি পানির রিজার্ভার নির্মাণ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘প্রকল্পের ইতোমধ্যে ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আশা করছি ২০২২ সালে এটি উৎপাদনে যেতে পারবে।’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট