চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে নন্দদুলাল

উখিয়া সংবাদদাতা

৩১ আগস্ট, ২০২০ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডের শেষ দিনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে আদালতে তোলা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা দিকে তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে আনা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার মামলাটির প্রধান আসামি ও বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা জবানবন্দি শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য বরখাস্ত এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
গত ২৬ আগস্ট আলোচিত এই মামলায় ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অন্যতম আসামি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য কনস্টেবল আব্দুল্লাহ। নন্দদুলাল রক্ষিতসহ মামলাটিতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামির সংখ্যা দাঁড়াবে তিনে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ সময় তার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে পুলিশ। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত।

খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর সাত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৩ জন।
সিনহা হত্যার পর পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।

এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি। বর্তমানে ওসি প্রদীপসহ সবাইকে র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুইটি ও রামু থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পরে আরেকটি মামলা হয়।
সিনহা হত্যার ঘটনার ১ মাস পার হলো। এ পর্যন্ত মোট ৫টি মামলা হয়েছে।

পূর্বকোণ/কায়সার-এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট