চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

টেকনাফে বিষাক্ত পোকার কামড়ে শিশুর মৃত্যু

কক্সবাজার সংবাদদাতা

৩০ আগস্ট, ২০২০ | ৯:০৪ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে বিষাক্ত পোকার কামড়ে ৬ বছরের স্কুল পড়ুয়া এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার সময় এ ঘটনা ঘটে । সে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার পুরানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহর ছেলে মো. সিফাত। এছাড়া পোকার কামড়ে মৃত শিশুর পরিবারের আরও দুই সদস্যসহ একই এলাকার ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। তারমধ্যে সিফাতের ছোট বোন রাবেয়া বসরী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিফাতের বাড়ির ১০০ গজ দূরে একটি গাছে বাসা বাঁধা কিছু পোকার কামড়ে তার মৃত্যু হয়। পোকাগুলো দেখতে বোলতা পোকার মত।তবে পোকাগুলো কোন প্রজাতির পোকা তা এখনও জানা যাইনি। এদিকে, বিষাক্ত পোকার কামড়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নয়াপাড়া এলাকায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার সময় সিফাত পাশের বাড়ির এক শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার জন্য বের হয়। যাওয়া সময় বাড়ির একটু দূরে ছোট একটি খালের পাশে গাছে বাসা বাঁধা বোলতা পোকার মত পোকাগুলো সিফাতকে আক্রমণ করে। পোকার কামড়ে শিশু সিফাত চিল্লাচিল্লি করলে ঘর থেকে সিফাতের ফুফু ও ছোট বোন রাবেয়া বসরী সহ লোকজন বের হয়।তারা সিফাতকে উদ্ধারের সময় সিফাতের বোন, ফুফুসহ ৬ জনকে পোকাগুলো আক্রমণ করে। তাদের মধ্যে চারজনের শরীরের অবস্থা খারাপ হলে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার সময় সিফাতসহ চারজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।সেখানে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে বাসায় ফিরে যায়।রাতে শিশু সিফাত ও রাবেয়া বসরীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সিফাতের পরিবার। আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু সিফাতকে মৃত ঘোষনা করে।অপরদিকে সিফাতের ছোট বোন রাবেয়া বসরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।আজ আছরের নামাজের পর শিশু সিফাতের জানাযা সম্পন্ন করে এলাকার করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, গতকাল সন্ধ্যার সময় পোকার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চারজন রোগী টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে।ওই সময় তাদের শারিরীক অবস্থা ভাল থাকায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।পরে তারা বাড়ি চলে যায়।এরপর থেকে তারা হাসপাতালের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি।এছাড়া পোকার কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা কোন প্রজাতির পোকার কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন তা বুঝা যাইনি। পোকাগুলো স্বচক্ষে দেখলে বুঝা যেত।তবে পোকা গুলোর কামড়ের ক্ষত স্থানগুলো লাল বর্ণের ছিল।

পূর্বকোণ / মানিক – আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট