ফেসবুকে দেখে ভালোলাগা। চলছিল চ্যাটিংও। একপর্যায়ে অধরা নামের মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় শাখাওয়াত। শাখাওয়াতের দেয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে অধরা। যা মেনে নিতে পারেনি শাখাওয়াত। একপর্যায়ে তার দুই বন্ধু ও দুই বান্ধবীকে সাথে নিয়ে অধরার বাসায় যায় শাখাওয়াত। বন্ধু শাখাওয়াতের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন সিমি নামের এক মেয়ে। তাইতো, অধরাকে বাসা থেকে বের করে মারধর করে সিমি। যা ভিডিও করে ছাড়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়।
এমনই অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় প্রেমের প্রস্তাব দেয়া শাখাওয়াত ও তার গায়ে হাত তোলা সিমিসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে অধরা। মামলা দায়েরের পরপরই প্রেমিক শাখাওয়াতসহ এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। তবে এখনও অধরা রয়ে গেছে অধরাকে মারধর করা সেই সিমি বলে জানান তিনি। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

তবে সিমির ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর খোলা থাকায় যোগাযোগ করা হয় তার সাথে। এসময় তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘মেয়েটি আমার ফেসবুকের একটি ছবিতে বাজে কমেন্ট করে। যার কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এবং হত্যার হুমকিও দেয়। যা আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি। অন্যদিকে আমার বন্ধু শাখাওয়াতকেও একই ধরণের হুমকি দেয় মেয়েটি। যার কারণ জানতে তার বাসায় গেলে সেখানে একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে তার গায়ে হাত তোলার আগে আমাদেরও মারধর করে তার পরিচিত কয়েকজন মহিলা। একপর্যায়ে ক্ষোভে তার গায়ে আমি হাত তুলি।’
পূর্বকোণ/এএ