মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ওজনে কারচুপি করায় ৮ প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) নগরীর কোতোয়ালী, খুলশি ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
কোতোয়ালী থানার কাজির দেউড়ীর বোম্বে রয়েল সুইটসকে প্যাকেটজাত হালিম, দই, চানাচুর ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যে মেয়াদ, উৎপাদনের তারিখ উল্লেখ না করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
খুলশী থানার আমবাগানের জনসেবা ফার্মেসীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদ বিহীন কাটা ঔষধ সংরক্ষণ করায় আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আমবাগান কাঁচাবাজারে রফিক সওদাগরের মাছের দোকানকে কম ওজনের বাটখারা ব্যবহার করায় পাঁচশ টাকা জরিমানা করে ৬টি কম ওজনের বাটখারা জব্দ করা হয়।
রেলওয়ে স্কুল মার্কেটের জাহানারা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে রং, হাইড্রোজ, তেলাপোকাযুক্ত পামওয়েল সংরক্ষণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ কোমলপানীয় রাখায় বিশ হাজার জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
পাহাড়তলী থানা রোডের ভুঁইয়া ফার্মেসীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ করায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ঔষধ ধ্বংস করা হয়। অলংকার মোড় এলাকার ইলিয়াস বেকারিকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের উপর শ্রমিকদের জামা-কাপড় শুকাতে দেয়ায়, হাইড্রোজ ও অননুমোদিত রং-ফ্লেভার ব্যবহার করায় বিশ হাজার জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
সাগরিকা মোড়ের ইউনাইটেড ফার্মাকে অননুমোদিত বিদেশি ঔষধ রাখায় দশ হাজার টাকা জরিমানা করে অননুমোদিত ঔষধ ধ্বংস করা হয়। একই এলাকার বরাত মেডিসিন সাপ্লাইকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় পাঁচ জরিমানা করে জব্দকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ।