চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চসিকের ২৭ বৈদ্যুতিক হেলপার নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি

ইফতেখারুল ইসলাম

২৪ আগস্ট, ২০২০ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিদ্যুৎ বিভাগে সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া নিয়োগ পেয়েছে ২৭ জন বৈদ্যুতিক হেলপার। ‘কাজ নাই, মজুরি নাই’ ভিত্তিতে এসব হেলপার নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারের আউটসোর্সিং নীতিমালা। অভিযোগ রয়েছে এরা অষ্টম শ্রেণি পাস দেখিয়ে বৈদ্যুতিক হেলপার হিসেবে নিয়োগ পেলেও বাস্তবে এদের অনেকেই ডিগ্রি পাস। এদের মধ্যে কেউ কেউ বৈদ্যুতিক হেলপারের দায়িত্বে নয়, নগর ভবনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে পদায়ন হয়েছেন।

চসিক সূত্র জানায়, এই সংস্থাটিতে বর্তমানে স্থায়ী বৈদ্যুতিক হেলপার রয়েছেন ২৩ জন। আর অস্থায়ী রয়েছেন ২০৫ জন। স্থায়ী অস্থায়ী মিলে মোট ২২৮ জন হেলপার রয়েছেন। সম্প্রতি আরো ২৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচজন পোষ্যকোটায় নিয়োগ পেয়েছেন। এই নিয়োগে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকার এসব পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ২০১৮ সালে। আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৫ অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। কারণ অস্থায়ী অর্থাৎ ‘কাজ নাই, মজুরি নাই’ ভিত্তিতে নিয়োগ দিলে কর্পোরেশন পরবর্তীতে আইনি ঝামেলায় পড়ে। মামলা মোকাবেলা করতে হয়। অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়াদের নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর স্থায়ী করার বিধান আইনে আছে। এই আইনের সুযোগ নিয়ে তারা মামলা করে স্থায়ী হওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে এই ধরনের একটি মামলা চালাচ্ছে চসিক। যার জন্য বাড়তি অর্থ এবং সময় নষ্ট হচ্ছে চসিকের। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৩৩ জন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং হেলপার তাদের স্থায়ী করার জন্য আদালতে মামলা করেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তিন মাসের মধ্যে তাদেরকে স্থায়ী করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। সিটি কর্পোরেশন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। মামলাটি এখন চলমান আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রশাসক আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন পূর্বকোণকে বলেন, বিষয়টি তার দায়িত্ব নেয়ার আগেই হয়েছে। তাই এবিষয়ে বিস্তারিত তার জানা নেই। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি খতিয়ে দেখা হবে উল্লেখ করে বলেন, এতে কোন ত্রুটি কিংবা আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট