চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শঙ্কায় কক্সবাজারের হাটে পশু আনছে ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২৯ জুলাই, ২০২০ | ৪:০৮ অপরাহ্ণ

কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কক্সবাজারে কোরবানি পশুর হাট। গত কয়েকদিনে বিক্রি কম হলেও হাটে ভরপুর গরু। বুধবার (২৯ জুলাই) থেকে কোরবানির হাটে ব্যবসায়ীদের গরু আনার হিড়িকও পড়েছে।

কক্সবাজার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলায় এবার ৪৪টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। প্রত্যেকটি হাটে দুটি করে মেডিকেল টিম কাজ করছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর টিমগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে পুলিশ। জাল নোট শনাক্ত করতে রয়েছে কয়েকটি ব্যাংকের বুথ।

বুধবার শহরের বিরাট পশুর হাট খুরুশকুল রাস্তার মাথায় গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে ব্রিজ পর্যন্ত বিস্তৃত হাটের পরিধি। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খামারিরা এনেছে গরু, ছাগল ও মহিষ। করোনা সংকটে দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। হাটে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। মিয়ানমার থেকে প্রচুর গরু আসায় আশানুরূপ দাম নিয়ে শঙ্কায় প্রকাশ করছে ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছর দাম স্বাভাবিক থাকায় বেশ খুশি ক্রেতা সাধারণ।

খুরুশকুল পশু হাটের মূল সমন্বয়ক ইমরুল কায়েস বলেন, এবার শহরে ৬টি কোরবানির হাট বসেছে। তার মধ্যে এটি বড় পরিসরে হয়। আজকে (২৯ জুলাই) থেকে বাজারে ক্রেতার পাশাপাশি গরুর সংখ্যাও বাড়ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে গরু নিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা। গরুর দামও স্বাভাবিক রয়েছে।

ঈদগাঁ থেকে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা নেজাম উদ্দিন জানান, প্রতি বছর তিনি এখানে ৪/৫টি গরু আনেন। এবারও ৫টি গরুর মধ্যে ২টি বিক্রি করেছেন। বাকিগুলোও শিগগিরই বিক্রি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। টেকনাফ থেকে এখানে ওসমান গণি গরু এনেছেন ১২টি। ২টি বিক্রি হয়েছে তার। অন্য গরুগুলো ক্রেতারা দেখছেন। ভাল দাম পেলে হাট শেষের আগে বিক্রি করে বাড়িতে চলে যাবেন। নতুবা চাঁদ রাত পর্যন্ত হাটে থাকবেন। চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বৃহত্তর ঈদগাঁও ও সদরের খরুলিয়াসহ বিভিন্ন গরুর হাটে এখন ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। গরু বিক্রি বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও। তবে অভিযোগ রয়েছে অনেক হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

মঙ্গলবার ( ২৮ জুলাই) কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার ও পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। পরিদর্শনকালে তারা জানান, প্রতিটি হাটের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, দালাল ও প্রতারণা রোধে সতর্ক রয়েছে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নানা নির্দেশনা নিয়ে কাজ করছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট