চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কোটিপতি তিন ইয়াবা ডনের সম্পদ ক্রোক টেকনাফে

আরফাতুল মজিদ, কক্সবাজার সংবাদদাতা

১ জুন, ২০১৯ | ১০:৩৫ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাজিরপাড়ার এজাহার মিয়ার দুই ছেলে নুরুল হক ভুট্টো (৩২) ও নুর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী (৩৫)। তারা দু’জনেই পাঁচ বছর আগেও রিকশা ও ভ্যানগাড়ি চালাতো। তবে এখন তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। রয়েছে আলিশান প্রাসাদও।
এর মধ্যে নুরুল হক ভুট্টো সরকারের তৈরি করা ইয়াবা চোরাকারবারির তালিকার শীর্ষে রয়েছে। একইসাথে আছে পিতা এজাহার মিয়ার নামও। তবে গত দুই মাস আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুর মোহাম্মদ নিহত হয়েছে। তারা তিনজনেই কয়েকবছর আগে থেকেই টেকনাফ উপজেলায় ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে।
আজ শনিবার (১ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টেকনাফ থানা পুলিশ এই তিন ইয়াবা ডনের ইয়াবা ব্যবসার টাকায় গড়ে ওঠা বিলাসবহুল তিনটি বাড়ি ক্রোক করেছে। আদালতের নির্দেশেই এই শীর্ষ তিন ইয়াবা কারবারির দোতলা দুই প্রাসাদসহ সমস্ত জমি ক্রোক করা হয়েছে। ক্রোক করা সব সম্পদের দাম ৩০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে জানায় পুলিশ।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, আদালতের নির্দেশে শনিবার সকালে তিন ইয়াবা ডনের বাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। বাড়িগুলো এখন পুলিশের হেফাজতে থাকবে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। যে বাড়িগুলো ক্রোক করা হয়েছে, সেগুলোর মালিকেরা একসময় রিকশা ও ভ্যানচালক ছিল। এখন তারা সবাই কোটি টাকার মালিক।
অভিযান পরিচালনাকারী দলে থাকা ওসি (তদন্ত) এমএস দোহা বলেন, ইয়াবার টাকায় টেকনাফে অনেকে রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি বানিয়েছেন। তার মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ওই তিন বাড়ি দেখলে মনে হয় এটা যেন কোন রাজার বাড়ি। এতো সুন্দর বাড়ি ঢাকা শহরে চোখে পড়েনি। এবারই প্রথম টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাড়িসহ সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্তে লবণ চাষি, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালকরা মরণনেশা ইয়াবা বেচাকেনা করে টেকনাফে আলিশান সব বাড়ি বানিয়েছে। সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে এসব বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে তালিকাভুক্ত বাবারা (ইয়াবা ব্যবসায়ীরা)। আবার অনেকে গ্রেপ্তার ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ইয়াবার টাকায় যারা অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছে, পর্যায়ক্রমে তাদেরও একই পরিণতি হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট